নিউইয়র্ক: লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফির সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এ অবরোধ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়।
এতে করে অস্ত্র কেনা-বেচা, ভ্রমণ এবং দেশের বাইরে থাকা গাদ্দাফি প্রশাসনের মালিকানাধীন সম্পত্তি জব্দ করা হবে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনার তদন্তেআরও উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ সময় গাদ্দাফি সরকারের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
সাধারণ নাগরিকদের ওপর গাদ্দাফি সমর্থকদের হামলা দ্রুত বন্ধের দাবি জানায় নিরাপত্তা পরিষদ। বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা নির্যাতন করতে সরকারের উচ্চ মহল থেকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে পরিষদ।
গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে সহস্রাধিক লোক নিহত হয়েছেন বলে বৈঠকে দাবি করে পরিষদ। অপর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে নিহত লোকজনের সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি।
অবরোধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে লিবিয়ার দূত ইব্রাহিম দাবাশি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের এ সিদ্ধান্ত লিবিয়ায় বিক্ষোভকারীদের নৈতিক সমর্থন যোগাবে।
১৯৭০ সালের অবরোধ বিধি মোতাবেক প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যই অনুমোদন দিয়েছে।
ভ্রমণ ও সম্পদের ওপর অবরোধ প্রস্তাব গাদ্দাফি, তার ৭ ছেলে, মেয়ে আয়শা, পরিবারের অন্য সদস্যরা এবং শীর্ষ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা যারা রক্তপাতের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।
অবরোধ প্রস্তাব পাস হয়েছে এ রকম মোট ১৬ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও তালিকায় ২২ জনের নাম ছিল কিন্তু শনিবার বৈঠকে তা কমিয়ে আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১