কায়রো: গণবিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের পর মিশরে রাজনেতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সংবিধান সংশোধনের কমিটি শনিবার প্রতিযোগিতামূলক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সুপারিশ করেছে। সেই সঙ্গে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ দুই বছর করারও প্রস্তাব করেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের পর মিশরে রাজনৈতিক সংস্কারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে আরও ১০টি প্রস্তাব এসেছে বলে সংস্কার প্যানেল সূত্রে জানা গেছে। এসব প্রস্তাবনা এ বছরের শেষের দিকে গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
গতমাসে শুরু হওয়া জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ব্যাপক সংস্কার আন্দোলনের অন্যান্য দাবির প্রেক্ষিতে শনিবার সংবিধান সংশোধন প্যানেল প্রথমবারের মতো এ প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপন করলো।
১৮ দিনের টানা বিক্ষোভের মুখে শতাধিক প্রাণহানীর পর শেষ পর্যন্ত ১১ ফেব্র“য়ারি ৩ দশকের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক পদত্যাগে বাধ্য হন।
তবে কিছু মিশরীয় আশঙ্কা করছেন এসব সংস্কার প্রস্তাবনা দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট হবে না এবং জেঁকে বসা সামরিক বাহিনীর হাতেই মতা বহাল থাকার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
৮ সদস্য বিশিষ্ট সংস্কার প্যানেলের প্রস্তাবনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার যোগ্যতার নীতি শিথিল করা। এতে ুদ্র বিরোধীদলগুলোও তাদের প্রার্থী দিতে পারবে।
এরআগের নির্বাচিনী নীতির এটি সবচেয়ে বড় সংস্কার। তখন নির্বাচনে মোবারকের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রায় একক আধিপত্য বজায় থাকতো।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, ফেব্র“য়ারি ২৭, ২০১১