নিকারাগুয়া: নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা তার দীর্ঘ দিনের মিত্র ‘ভাই’ মুয়াম্মার গাদ্দাফির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। শনিবার তিনি অভিযোগ করে বলেন, লিবিয়ার তেল সম্পদ দখলে নিতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সংগ্রামী বলিষ্ঠ মানুষটির বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ।
১৯৭৯-৯০ সালে নিকারাগুয়ায় ‘সান্দিনিস্তা’ বিপ্লবের পর থেকে ওর্তেগার সঙ্গে গাদ্দাফির নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ বিপ্লবের সময়ে ৫০ হাজার নিগারাগুয়া নাগরিক নিহত, ১ লাখ ২০ হাজার নির্বাসিত এবং ৬ লাখ বাস্তুচ্যুত হন।
এর আগে শুক্রবার ওর্তেগা বলেন, ‘লিবিয়ায় যা ঘটছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, গাদ্দাফির বিরুদ্ধে একটা বর্বর প্রচারণা সংগঠিত হয়েছে এবং তা উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর তেল সম্পদ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ষড়যন্ত্রেরই অংশ। ’
এ বক্তব্যের আগেই তিনি গাদ্দাফিকে সমর্থন জানান। তবে চক্রান্তের পিছনে কারা আছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমেরও সহিংস আচরণ দেখছি। তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর বোমা বর্ষণের খবর প্রচার করেছে। কিন্তু কোনো বোমা বিস্ফোরণ আমরা দেখতে পাইনি। এমনকি জনগণের ওপর বিমান থেকে গুলি বর্ষণের কোন প্রমাণও নেই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশটির বর্তমান অবস্থা খুবই বেদনাদায়ক। কিন্তু সামনে থেকে লিবিয়ার জনগণ আমাদের ভাই ‘লিবিয়া বিপ্লবের’ নেতা গাদ্দাফির সঙ্গে প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন। ’
এর আগের সপ্তাহে নিকারাগুয়ের বিরোধীদল লিবারেল পার্টি ‘গণহত্যাকারী স্বৈরশাসক’ গাদ্দাফির সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রবিরোধিতার জন্য কিউবার ফিদেল ক্যাস্ত্রো এবং ভেনিজুয়েলার হুগো শ্যাভেজের মতো লাতিন আমেরিকার অন্য নেতাদের সমর্থন পেয়ে যাচ্ছেন গাদ্দাফি।
২০০৯ সালে ওর্তেগাকে ‘আল-গাদ্দাফি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর হিউম্যান রাইটস’ পুরস্কার দেন স্বয়ং গাদ্দাফি। এর আগে ক্যাস্ত্রো এবং শ্যাভেজও এ পুরস্কারে ভূষিত হন।
এদিকে, নিকারাগুয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের ১৯ কোটি ৬ লাখ মওকুফ করেছে লিবিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১