বেইজিং: সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করতে সাম্প্রতিক ইন্টারনেটে প্রচারণা চীন সরকারকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এর প্রেক্ষিতে অব্যাহত মূল্যস্ফিতি, প্রবৃদ্ধির নিম্নগতি এবং দুর্নীতি নিয়ে জনগণের উদ্বেগ নিরসণের অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও।
দেশের প্রধান ১৩টি শহরে ইন্টারনেটে ডাকা নিয়মিত সাপ্তাহিক বিক্ষোভ র্যালি বন্ধ করতে রোববার তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। খবর এএফপি।
অনলাইন চ্যাটে প্রশ্নোত্তরে তিনি জাতীয় কিছু বিষয়ে সরকারের উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ইস্যুগুলোর সঙ্গে এ বিষয়গুলো তুলনীয় বলে মনে করছে সরকার।
জিয়াবাও বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্য হলো জনগণের বর্ধিত চাহিদা মেটানো এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান আরও উন্নত করা।
কিছুদিন আগে ইন্টানেটে কয়েকজন ব্যক্তি দেশের প্রধান শহরগুলোতে চীনের একদলীয় কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেয়। তারা সরকারে স্বচ্ছতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং আরও কিছু জনঅসন্তোষের বিষয় উল্লেখ করেন।
সকল স্তরের নাগরিককে প্রতি রোববার বেলা ২টায় দেশের ১৩টি শহরে বিক্ষোভ র্যালির আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়।
এই অনলাইন প্রচারণার প্রেক্ষিতেই গত রোববার বেইজিং, সাংহাই এবং অন্যান্য শহরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তিউনিসিয়ার আদলে তথাকথিত ‘ জেসমিন রেভ্যুলুশন’ ঠেকাতে চীনা সরকার একাধিক মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করে।
আজ রোববারও ৩ শতাধিক নিরাপত্তা বাহিনী বেইজিংয়ের কেন্দ্রে ওয়াংফুজিং শপিং স্ট্রিটের প্রবেশমুখে জড়ো হয়েছে। এখানেই নিয়মিত র্যালিটি আয়োজনের কথা ছিল।
এর আগে সকাল থেকেই কর্তৃপক্ষ ওয়াংফুজিংয়ে ম্যাকডোনাল্ডের সামনে ব্যারিকেট তৈরি করে রেখেছে।
এ এলাকাটি বিখ্যাত তিয়েনআনমেন স্কয়ারের খুবই কাছে। এখানেই ১৯৮৯ সালে গণতন্ত্র পন্থীদের এক মিছিলে গুলি চালিয়েছিল সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১