তিউনিস: তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানৌচি রোববার পদত্যাগ করেছেন। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কিছু মন্ত্রীর অপসারণের দাবিতে দেশটির বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে ঘানৌচি বলেন, ‘গভীরভাবে চিন্তা করে এবং পরিবারের সমর্থনে আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’
‘আমি দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি না। বরং নতুনদের এ পদে বসার সুযোগ দিচ্ছি। হত্যাকান্ড বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি উপযুক্ত ব্যক্তি নই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত তিউনিসিয়া, চলমান বিক্ষোভ এবং দেশটির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। ’
তিউনিসিয়ায় তৃতীয় দিনের মত চলমান সহিংসতায় রাজধানীর কেন্দ্রের হাবিব বুরগুবি এভিনিউতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ও সতর্কতা গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়।
এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়া বিক্ষোভকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করে বলে বার্তাসংস্থা এএফপির সাংবাদিক জানান।
কিন্তু পাথর ছুঁড়ে জানালার কাঁচ ও পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করা বিক্ষোভকারীদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়। শনিবার থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করা এ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত তিন জন নিহত এবং ডজনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হন।
এছাড়া শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শুক্রবার ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনী।
মূলত ক্ষমতাচ্যুত শাসক জাইন আল আবেদিন বেন আলির সরকারের মন্ত্রীদের বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার থেকে অপসারণের দাবিতে দেশটিতে নতুন করে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১