লন্ডন: কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিটেনে পালিয়ে আসা এবং পদত্যাগের ঘটনার পর লিবিয়ার সিনিয়র কর্মকর্তাদেরও একই কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন ব্রিটেনের সরকারি কর্মকর্তারা।
মুসা কুসা বুধবার লন্ডনে পৌঁছান এবং তিনি আর লিবিয়ার সরকারের হয়ে কাজ করতে চান না বলে জানান।
একইভাবে তিনি অন্যদেরও গাদ্দাফিকে ত্যাগ করে লিবিয়ার উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
এদিকে, মুসা কূটনৈতিক সফর করছেন বলে লিবিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
যুক্তরাজ্য লিবিয়ার পাঁচ কূটনীতিককে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ নেওয়ার দিনই এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘তারা যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠছিলেন। ’
মুসা বুধবার বিকালে তিউনিসিয়া থেকে হ্যাম্পশায়ারের ফার্নবোরাফ বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তার লন্ডনে আসাটা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মুসা উল্লেখ করেন। মুসা কোনো বাণিজ্যিক বিমানে নয়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিমানে লন্ডনে পৌঁছান বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অর্থে তার স্বপক্ষ ত্যাগ সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ।
এ বিষয়ে বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক নিক রবিনসন বলেন, ‘তিনি লিবিয়া থেকে পালানোর জন্য নাকি কর্নেল গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য লন্ডনে এসেছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ’
তবে লন্ডনে পৌঁছালেও এখনও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা কুসার লন্ডনে আসা বিষয়ে পররাষ্ট্র কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিনি নিজের ইচ্ছাতেই ব্রিটেন ভ্রমণে এসেছেন। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বলে আমাদের বলেছেন। ’
এতে বলা হয়, ‘গাদ্দাফির সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা বর্তমানে মুসার উদাহরণ অনুসরণ করতে বলছি এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন ও সত্যিকার সংস্কারের মধ্য দিয়ে লিবিয়ার উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
মুসা কুসা গাদ্দাফির সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। বহির্বিশ্বে গাদ্দাফির সরকারকে উপস্থাপন করাই তার প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু তিনি এ কাজ করার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১