ত্রিপোলি: লিবিয়ার মানবিক বিপর্যয় নিয়ে করণীয় ঠিক করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জেনেভাতে জড়ো হতে শুরু করেছেন। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলছেন, হাজার হাজার অভিবাসী, যাদের অনেকেই লিবিয়া তিউনিসিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার কাছে আটকা পড়েছেন। তাদের জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় খাদ্য, পানি দরকার।
বিদ্রোহীরা মুয়াম্মার গাদ্দাফির শক্ত ঘাঁটি রাজধানী ত্রিপোলির কাছাকাছি এসে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে গাদ্দাফি বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
জেনেভা অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে যাওয়ার পথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন বলেন, লিবিয়ার মানবিক বির্পর্যয় নিয়ে সমন্বিত সহায়তার ব্যাপারে রাজনৈতিক এবং মানবিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা করবেন।
লিবিয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় অনেক শহরই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। বেনগাজিতে ১০ দিন আগে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। বিদ্রোহীরা বলছে, তারা একটি জাতীয় পরিষদ গঠন করেছেন, যা গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবে।
লিবিয়াতে দু’সপ্তাহ ব্যাপী চলা সরকার বিরোধী সহিংসতায় এক হাজারের ও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যমের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় সহিংসতা সম্পর্কিত সঠিক কোনো খবর পাওয়া একটু কষ্টকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১