ত্রিপোলি: লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে দেশটির চারপাশে নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করতে যাচ্ছে পেন্টাগন। একইসঙ্গে দেশটিতে ‘নো- ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘দেশের জনগণের ওপর হামলার বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় আমি মিত্রদের সঙ্গে একত্রিতভাবে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ সৃষ্টির জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। ’
এক্ষেত্রে নো ফ্লাই জোন বাস্তবায়নে সাইপ্রাসের আকরোতিরি বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করা হবে বলে যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানান। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা খুবই কার্যকর একটি স্থান এবং এখানে সেনা মোতায়েন করাই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত। ’
তবে জেনেভায় চলমান জাতিসংঘের বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘লিবিয়ার সরকার যতক্ষণ দেশের জনগণের হামলা চালাবে ও হত্যা করবে ততক্ষণ সব ব্যাপারেই আলোচনা চলবে। ’ একইসঙ্গে অন্যান্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি নো ফ্লাই জোন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানান।
ক্লিনটন জানান, তবে নৌবাহিনীর মোতায়েন করার অর্থ এই না যে সামরিক তৎপরতা মুলতবি ঘোষণা করা হচ্ছে। অব্যাহতভাবে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় শরণার্থীদের সমুদ্রপথে উদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
এদিকে, সরকার বিরোধীদের ওপর গাদ্দাফির বিমান হামলা ঠেকাতে গত সপ্তাহে মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন এবং জোসেফ লিবারম্যান লিবিয়ার ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপের জন্য ন্যাটো দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
একই সময়ে যুক্তরাজ্য কর্নেল গাদ্দাফি এবং তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের ১০০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করে। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার দেশটির বিমান বাহিনী একটি অস্ত্র ভা-ারে বোমা হামলা করে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকাটিতে গাদ্দাফি বিরোধীদের দখলে রয়েছে।
সম্প্রতি বিবিসির কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল গাদ্দাফি বলেন, ‘আমার দেশের সব জনগণ আমাকে ভালবাসে এবং তারা আমার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১১