জেনেভা: ইয়েমেনে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দেশটির কর্তৃপক্ষের সহিংসতা ও দমনপীড়ন বিষয়ে মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান। একইসঙ্গে জনগণের তাদের দাবি প্রকাশের অধিকার আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার নাভি পিল্লাই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জনগণের সরকারের উদ্দেশ্যে তাদের দাবি দাওয়া জানানোর অধিকার আছে। ’
‘গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই বার বার বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকারি বাহিনীর হামলা ও দমন পীড়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। বিক্ষোভকারীদের হতাশ এবং ক্ষুব্দ করবে না। ’
একইসঙ্গে তিনি সরকারকে বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষারও আহ্বান জানান।
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিশাল আকারে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে পিল্লাই এ বিবৃতি দেন।
এদিকে লিবিয়ায় চলমান বিক্ষোভের কারণে দেশটির ৭০ থেকে ৭৫ হাজার মানুষ তিউনিসিয়ায় পালিয়ে যাওয়ায় লিবিয়ার সীমান্তের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা থেকে জানানো হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংক্রান্ত উচ্চ কমিশনের মুখপাত্র মেলিসা ফেমিং বলেন, ‘লিবিয়া-তিউনিসিয়া সীমান্তের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে সেখানে অবস্থিত আমাদের কর্মীরা জানিয়েছেন। ‘
শুধু সোমবারই প্রায় ১৪ হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করেছেন এবং মঙ্গলবার আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ সীমানা অতিক্রম করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য শহরে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এ বিষয়ে ফেমিং বলেন, ‘এ সংকট সমাধানে যানবাহন প্রয়োজন। ’
তবে এখনও আরও বহু মানুষ সীমান্ত অতিক্রমের জন্য অপেক্ষা করছেন বলেও তিনি জানান। এ পরিস্থিতিতে বৈষম্য এড়ানোর জন্য সীমান্তের সব ভূমি, আকাশ এবং নৌ পথ খুলে দেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন ফেমিং।
এদিকে লিবিয়ায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার মানুষ দেশটির মিশর সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই মিশরের নাগরিক যারা এরই মধ্যে তাদের নিজ শহরে পৌঁছেছেন। তবে আরও ৩ হাজার মানুষ এখনও যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে ইউএনএইচসিআর জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘন্টা, মার্চ ০১, ২০১১