ব্রাসেলস: লিবিয়ার সংকট বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ১১ মার্চ ব্রাসেলসে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে এ বৈঠকে অশান্ত আরব বিশ্বে নিয়েও আলোচনা করা হবে।
একইসঙ্গে ওইদিন একটি জরুরি বেঠকও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। মূলত সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারককোজির অনুরোধের পর ইইউর ২৭টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জন্য এ বৈঠক বাধ্যতামূলক করা হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে ক্যামেরন ও সারকোজি মুয়াম্মের গাদ্দাফির নৃশংসতাকে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে এ স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানোর বিষয়েও উভয় নেতা সম্মত হন।
এছাড়া এ দেশটির প্রতি ইইউর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও আরও কঠোর অবরোধ আরোপের গুরুত্ব নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
সোমবার ইইউ গাদ্দাফির শাসনের উপর সময়ের সবচেয়ে কঠোর অবরোধ আরোপ করেন। মূলত লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ এড়ানো এবং আরও রক্তপাতের আশঙ্কায় ইইউর দেশগুলো এ অবরোধ আরোপের বিষয়ে সম্মত হয়।
ইইউর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে এ ভয়াবহ সহিংসতা আমাদের হতবুদ্ধি করে দিয়েছে। এটাই আমাদের এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। ’
একইসঙ্গে লিবিয়ার বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১১