ত্রিপোলি: পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ লিবিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মুয়াম্মার গাদ্দাফি শাসিত লিবিয়ায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
তবে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক হস্তক্ষেপ লিবিয়ার হাজার হাজার জনগণের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন কর্নেল গাদ্দাফি।
যুক্তরাষ্ট্র: হেলিকপ্টার এবং সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ইউএসএস কিয়ারসার্জ এবং ইউএসএস পন্স নামের যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রণতরী ভূমধ্যসাগর দিয়ে লিবিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
রণতরী দুটিতে বর্তমানে ৮০০ মেরিন সেনা আছেন এবং অতিরিক্ত আরও ৪০০ সেনা তাদের সঙ্গে পরবর্তীতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। জাহাজ দুটি মানবিক সহায়তাসহ সামরিক অভিযানও পরিচালনা করবে।
এছাড়াও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের ক্ষমতাসম্পন্ন ইউএসএস ব্যারি লিবিয়ার উদ্দেশে সোমবার সুয়েজ খাল অতিক্রম করেছে।
ব্রিটেন: জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে এইচএমএস ওয়েস্টমিনস্টার নামের যুদ্ধজাহাজটি লিবিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। টাইপ ২৩ ধাঁচের রয়েল নৌবাহিনীর এ ফ্রিগেটটি শুক্রবার খুব অল্প সময়ের নির্দেশে জিব্রাল্টার থেকে যাত্রা শুরু করে।
ফ্রান্স: শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনতে ফ্রান্স লিবিয়ার উদ্দেশে মিস্ত্রাল নামে হেলিকপ্টারবাহী দ্বিতীয় বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে জর্জেস-লেইগাস নামের আরেকটি ফ্রিগেটও এর সঙ্গে যাত্রা করেছে। এ দুটি জাহাজ প্রায় ৮০০ মানুষ বহনে সক্ষম। মিস্ত্রাল একইসঙ্গে নেতৃত্বদানকারী জাহাজ এবং হামলাকারী নৌযান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
কানাডা: কানাডার পূর্বাঞ্চলের হ্যালিফাক্স থেকে দেশটির এইচএমসিএস শার্লটটাউন নামের একটি জাহাজ লিবিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। ২২৫ নৌসেনা এবং সি কিং হেলিকপ্টারসহ ১৩৪ মিটার আয়তনের এ ফ্রিগেটটি আগামী সপ্তাহ ইউএসএস কিয়ারসার্জের সঙ্গে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইতালি: আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইতালি লিবিয়ায় জাহাজ পাঠাবে বলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ফ্রাতিনি জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া: শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য জলদস্যুতা বিরোধী টহলযান চিও ইয়ং পাঠাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার দিনে শেষে যুদ্ধ জাহাজটি ত্রিপোলিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১১