ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ত্রিপোলিতে ব্যাপক গোলাগুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১১
ত্রিপোলিতে ব্যাপক গোলাগুলি

ত্রিপলি: লিবিয়ার আপাত সহিংসতা মুক্ত রাজধানী ত্রিপোলিতে রোববার সকালে নিরবচ্ছিন্ন গুলির শব্দ শোনা গেছে। বার্তাসংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন।



তবে গুলির শব্দের উৎস সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। রাজধানীর গ্রিন স্কয়ার এলাকার একটি হোটেলে রোববার স্থানীয় সময় সকাল পৌঁনে ৬টায় এ শব্দ শোনা যায়।

তবে ত্রিপোলিতে কোনো ধরনের সহিংসতার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘ত্রিপোলিতে কোনো ধরনের লড়াই চলছে না বলে আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি। সব কিছু নিরাপদ আছে। ত্রিপোলি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনারা আতশবাজির শব্দ শুনেছেন। জনগণ এখন রাস্তায় উৎসব করছেন। ’

গাদ্দাফির বাহিনী ত্রিপোলির ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমের মিসুরাতা এবং আজ-জাবিয়া শহরগুলো পুনর্দখল করায় তা উদযাপন করছিলেন বলে লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশন জানায়। তবে শহর পুনর্দখলের খবর সত্য নয় বলে মিসুরাতার এক বাসিন্দা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন।

সাদৌন মিসত্রাই নামের ওই বাসিন্দা বলেন, ‘এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই। গত কয়েক রাত থেকে মিসুরাতা শহরটি খুব শান্ত ছিলো। ’

এর মধ্যে শহরের দক্ষিণে বিমান বাহিনীর ঘাঁটির একাংশে সেনাসহ বিক্ষোভকারীরা গাদ্দাফির অনুগত আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ঘিরে ফেললেও দুদিনের জন্য এখানে সম্মুখ কোনো যুদ্ধ হয়নি।

এদিকে শনিবার আজ- জাবিয়া শহরের বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে ট্যাঙ্কসহ বিভিন্ন অস্ত্র জব্দ করা হয় বলে রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচার করা হয়। কিন্তু শনিবার গাদ্দাফির বাহিনী শহরটি ঘিরে ফেলার পর তারা ভয়াবহ হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা আল- জাজিরাকে জানায়।

এ হামলায় ৩০ জনেরও বেশি নিহত ও ২০০ জন আহত হন। তবে এ লড়াইয়ের পর বিক্ষোভকারীরা সরকারি বাহিনীকে শহর থেকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়।

শত শত সেনা ট্যাঙ্ক ও সশস্ত্র যান নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ছয়টায় আজ- জাবিয়ায় প্রবেশ করে বলে শহরে বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র ইউসুফ শাগান জানান।

প্রথমে গাদ্দাফির বাহিনী শহীদ চত্ত্বরের প্রতিরক্ষা ভেঙ্গে এগিয়ে গেলেও পরবর্তীতে পিছু হটতে বাধ্য হয় বলে শাগান জানান।

লিবিয়ায় দেশটির স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪১ বছরের শাসনের অবসানের লক্ষ্যে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং প্রায় সব শহরই বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে গেলেও ত্রিপোলি এখনও তার নিয়ন্ত্রণে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।