ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডে তিনটি প্রদেশ থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

আন্তর্জাতিকডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১০
থাইল্যান্ডে তিনটি প্রদেশ থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

ব্যাংকক: থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের তিনটি প্রদেশ থেকে মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে দেশটির সরকার।

তবে রাজধানী ব্যাংককে এখনও তা জারি আছে।

রাজধানীতে সরকার-বিরোধী রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের দুই মাস পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

সরকারের মুখপাত্র সুপাচাই জাইসমুত জানান, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা প্রদেশ তিনটি হচ্ছেÑ লামপাং, রয় ইত ও সাকোন নাখোন। এছাড়া সম্প্রতি আরও দু’টি অঞ্চল থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে।

সুপাচাই জাইসমুত বলেন, “ওই তিনটি প্রদেশে এখন আর কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নেই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসী। ”

এদিকে, আরও ১৬ টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। কেননা ওই সব অঞ্চলে কমিউনিটি রেডিও ব্যবহার করে পরিস্থিতি অশান্ত করা, হামলা-লুটপাট চলছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর আততায়ী হামলার আশঙ্কাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা চলার সময়ে পাঁচ জনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। একইসঙ্গে বিনা অভিযোগে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ৩০ দিনের জন্য আটক করার অধিকার নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরকালে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক উইলিয়াম বার্ন বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া উচিৎ। তিনি বলেন, “অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ক্ষমতা বলবৎ রাখা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। ”

এদিকে, এ ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার লাল-জামাধারী শীর্ষ নেতাসহ শত শত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে এবং একইসঙ্গে সরকার-বিরোধী টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়।

উল্লেখ্য, তাৎক্ষণিক নির্বাচনের দাবিতে দুই মাসব্যাপী জন সমাবেশের পর সৃষ্ট সহিংসতায় থাইল্যান্ডে ৯০ জন নিহত ও এক হাজার নয়শ জন আহত হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ। গত মে মাসে সেনাবাহিনীর অভিযানের পর রক্তক্ষয়ী এ আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।