ঢাকা: প্রায় অর্ধশত দিনের হত্যাযজ্ঞের পর ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রক হামাসের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।
মিশরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
দীর্ঘস্থায়ী চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই চুক্তির ফলে ফিলিস্তিনিদের জয় নিশ্চিত হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তির ফলে গাজার ওপর অবরোধ শিথিল হয়ে যাবে। এতে এই অঞ্চলে সহায়তা ও ভবন নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে যেকোনো দেশ বা সংস্থা।
ইসরায়েলের কোনো কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া না গেলেও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে চুক্তিতে সম্মতির কথা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কায়রোয় চলমান সংলাপে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যকার ৭ সপ্তাহের সহিংসতা বন্ধ, ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে গাজার যাতায়াতের পথগুলো খুলে দেওয়া এবং ভূ-মধ্যসাগরে গাজা উপত্যকার লোকজনের মাছ ধরার পরিধি বাড়াতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এসব বিষয় নিষ্পত্তি হলে এক মাসের মধ্যেই গাজায় সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের বন্দিদের মুক্তি নিয়ে সংলাপ হবে।
তেলআবিব সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক চুক্তি বাস্তবায়ন হতে শুরু করলে গাজার সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে নিরস্ত্রকরণসহ ইসরায়েলের কিছু দাবিও আলোচনার টেবিলে উঠে আসবে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই চুক্তিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, আমরা এই চুক্তির পক্ষে জোরালো সমর্থন দিচ্ছি।
গত ৮ জুলাই থেকে দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হলে ইসরায়েলের নির্বিচার গুলি-বোমায় ২১২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল শিশু। অপরপক্ষে হামাসের রকেট হামলায় নিহত হয় ৬৭ ইসরায়েলি সেনা ও চার বেসামরিক নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৪