ত্রিপোলি: বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করে পশ্চিমা বিশ্ব লিবিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে বলে দেশটির শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি অভিযোগ করেছেন। এর আগে বিদ্রোহীদের হাতে এখনই অস্ত্র তুলে দেওয়ার উপযুক্ত সময় নয় বলে মন্তব্য করে ওয়াশিংটন।
বিক্ষোভকারী নেতাদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে পশ্চিমা বিশ্ব লিবিয়াকে বিভক্ত করতে যাচ্ছে বলে ত্রিপোলিতে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসসা কুসসা বলেন, ‘ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছে। এর অর্থ এখানে লিবিয়াকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। ’
এদিকে, জনগণকে রক্ষা ও গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদে আরও জোরদার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ বেড়েই চলেছে।
তবে বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে ভালভাবে না জানার কারণে এখনই তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া এখনই তাদের হাতে অস্ত্র দেওয়ার সঠিক সময় নয় এবং এ ধরনের মধ্যস্থতার জন্য আন্তর্জাতিক অনুমোদনের প্রয়োজন বলে মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব রবার্ট গেটস মন্তব্য করেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলে অস্ত্র দেওয়ার এখনই সঠিক সময় নয়। আমাদের এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। ’
এদিকে, রোববার তিন সপ্তাহ পুরাতন সংঘর্ষে আবারও নতুন করে সহিংসতার পর আহত এবং মুমূর্ষ ব্যক্তিদের জরুরি ভিত্তিতে লিবিয়ার পশ্চিমের মিসরাতা শহরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ থেকে দাবি জানানো হয়।
এ ধরনের হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ন্যাটো প্রধান অ্যান্ড্রুস ফগ রাসমুসেন বলেন।
লিবিয়ার শাসকদের সঙ্গে মানবিক বিষয়ে আলোচনার জন্য জর্দানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আইলাহ খতিবকে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন জানিয়েছেন।
এ উদ্দেশ্যে সংঘর্ষে জড়িত সব দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য খতিব লিবিয়ার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন বলে জানা যায়।
একইসঙ্গে লিবিয়ায় চলমান সংঘর্ষে আটকে পড়া শরণার্থীদের খাবার, আশ্রয় এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য জাতিসংঘ ১৬ কোটি মার্কিন ডলারের ত্রাণ তহবিল ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১১