ঢাকা: মায়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যের নির্যাতিত মুসলিম ‘রোহিঙ্গাদের’ স্বীকৃতি দেয়নি।
সম্প্রতি শেষ হওয়া আদমশুমারিতে দেশটির নাগরিকরা ১৩৫টি জাতিসত্তার মধ্যে নিজেদের পরিচয় বেছে নেওয়ার সুযোগ পেলেও তালিকায় ‘রোহিঙ্গা’ নামে কোনো জাতিসত্তা ছিল না।
মায়ানমার কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মুসলিমরা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী, তারা ‘বাঙালি’।
১৯৮৩ সালের পর এ বছরের ৩০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে এই আদমশুমারি করা হয়। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল এতে আর্থিক সহায়তা দেয়। গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আদমশুমারির প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। আগামী বছর চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। খবর: আলজাজিরা
আদমশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত তিন দশকে মায়ানমারের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি কমেছে। ১৯৮৩ সালের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ছিলো প্রায় ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি), আর ২০১৪ সালের এসে দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৪১ মিলিয়ন (প্রায় ৫ কোটি দশ লাখ)।
আদমশুমারিতে নাগরিকদের ৪১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। তারমধ্যে ৮ নম্বরে ছিলো জাতিসত্তার প্রশ্নটি।
অবশ্য দেশটির উত্তরাঞ্চলের কোচিন রাজ্যের বেশ কিছু অংশ জাতিগত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানকার নাগরিকরাও এই আদমশুমারির অন্তর্ভূক্ত হননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৪