ঢাকা: ইরাক ও সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নিয়ন্ত্রণাধীন তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে বিমান হামলা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিমান হামলা শুরুর তৃতীয় দিন তারা এ পরিকল্পনা করেছে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এ বিমান হামলায় সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশগ্রহণ করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইরাকে বিমান হামলায় অংশ নিতে মত দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন শিগগির যুক্তরাজ্য এ বিমান হামলয় অংশ নিবে।
জানা যায়, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতিমধ্যে আল মায়াদিন, আল হাসাকা এবং আলবু কামাল এলাকায় বিমান হামলা করার জন্য বিমান ও ড্রোন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে।
ঠিক তার এক ঘণ্টার পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে মহাসচিব বান কি মুনকে জানিয়েছেন বৃটেন অবশ্যই ইরাকে আইএস’র বিরুদ্ধে চলমান বিমান হামলায় অংশ নিবে। ইতিমধ্যে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য সংসদের জরুরী অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামরিক বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, আমরা আইএস’র তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে এ পর্যন্ত মোট ১৩টি বিমান হামলা করেছি। যার মধ্যে ১২টি আইএস নিয়ন্ত্রণাধীন তেল শোধনাগারে আঘাত হানা হানতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি এ জঙ্গি সংগঠনের যানবহন ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যে এ হামলার ফলাফল নিরূপণ সম্পন্ন করেছি এবং প্রাথমিক নির্দেশিকা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের হামলা সফল হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে আইএস সদস্যরা দ্রুত তেল বহনে সুবিধার জন্য একটু অফ সাইটে এসব শোধনাগার গড়ে তুলেছে। এ সব তেল শোধনাগারগুলো মিলিয়ন মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদনে সক্ষম এবং এ জঙ্গি সদস্যদের তেল সরবরাহে খুবই সক্ষম।
এছাড়া এগুলো আইএস’র অপারেশনগুলোতে তেল সরবরাহ করে এবং ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার অর্থ যোগানদাতা। ভবিষ্যতেও এ শোধনাগারগুলো তাদের অর্থ যোগান দিয়ে যাবে বলে জানান ওই সামরিক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪