ঢাকা: নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠকে মুখোমুখি হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ঐতিহাসিক এ বৈঠকে উভয় পক্ষই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে একটি দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই চুক্তিতে পৌঁছাতে ইরান ও বৃহৎ শক্তিগুলোর আলোচনার ব্যাপারে নিজেদের আন্তরিকতা প্রকাশ করেন।
বুধবার জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের পর বৈরী দেশদুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই ধরনের বৈঠক এই প্রথম।
২০১১ সালে বিক্ষোভকারীরা তেহরানস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে ভাঙচুর চালানোর পর থেকে ইরানের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে আসে। তবে ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত হাসান রুহানি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সম্পর্কোন্নয়নের পথ তৈরি হয়। এমনকি ভাঙচুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া দূতাবাসও আগামী মাসে খোলার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন।
বৈঠকের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং জাতিসংঘের আলোচনা এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে বলে একমত হন উভয় নেতাই। এ সুযোগের সদ্বব্যবহার করে একটি বিস্তৃত চুক্তির সুযোগ কাজে লাগানো্র অঙ্গীকার ব্যক্ত করে দুই নেতা।
এছাড়া আইএস প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, পুরো অঞ্চলের জন্য আএএস একটি হুমকি এ বিষয়ে উভয় নেতাই একমত হন। পাশাপাশি আইএস সহ সব সন্ত্রাসী গ্রুপকে আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা বন্ধ করতে এ অঞ্চলের সব দেশকে আরও কাজ করতে হবে বলে উভয় নেতাই একমত পোষণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪