ঢাকা: আজই কী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন ‘আম্মা’ জয়ললিতা, এ প্রশ্ন শুধু তামিলনাড়ুর নয় পুরো ভারতে। পুরো ভারতবাসী আজ তাকিয়ে ব্যাঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের দিকে।
দুপুর নাগাদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারকরা।
যদি এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তবে ভারতীয় আইন অনুযায়ী আজই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হবে জয়ললিতাকে। অবশ্য রাজ্যের ক্ষমতা ছাড়তে হবে না তার দলকে। সেক্ষেত্রে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের কোনো শীর্ষ নেতাকে বসানো হবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসিতে।
১৯৯৬ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। ১৮ বছর পর রায় ঘোষণা হচ্ছে ওই মামলাটির ।
রায়ের ফলাফলকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে রায় ঘোষণার শহর কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সহ পুরো তামিলনাড়ুতে।
সকালে জয়ললিতার দলের (এআইএডিএমকে) সদস্যরা আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা পুলিশের ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ হালকা লাঠিচার্জ করে।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশে দু’হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ব্যাঙ্গালুরুতে মোতায়েন রয়েছে চার হাজার পুলিশ। এছাড়া তামিলনাড়ু-কর্ণাটক সীমান্তে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
মামলার বিষয়ে প্রসিকিউশন জানায়, ১৯৯১ সালে জয়ললিতা যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তার ৩ কোটি রুপির সম্পদ ছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার বেতন ছিল মাত্র এক রুপি। কারণ তিনি ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী হলে তিনি কোনো বেতন নেবেন না। অথচ ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে তার পরিবারের সম্পদের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি রুপিতে। যা তার তৎকালীন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো না।
অভিযোগে বলা হয়, জয়ললিতা দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি স্বর্ণের মালিক। তাছাড়া তার শাড়ির সংখ্যা ১২ হাজার বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। এছাড়া ১৯৯৬ সালে পালিত ছেলের বিয়েতে তিনি পাঁচ কোটি রুপি ব্যয় করেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণে সরকারের পক্ষে মোট দুইশ’ ৫৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আর জয়ললিতার পক্ষে সাক্ষ্য দেন ৯৯ জন। তবে জয়ললিতার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিরোধীরা কাজটি করেছেন।
যাই হোক, এ সব প্রশ্নের জবাব মিলবে শনিবার দুপুরের আদালতের রায়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪/আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা