ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড পাওয়া তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে ব্যাঙ্গালুরুর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। রায়ের পর বুকে ব্যথা অনুভব করায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে কারাগার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ব্যাঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শনিবার রায় দেন। সেইসঙ্গে তাকে ১০০ কোটি রুপি জরিমানা, অনাদায়ে এরা এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ছাড়তে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর পদও।
এছাড়া তাকে দশ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করেছেন আদালত। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এদিকে জয়ললিতার দল অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাভিডা মুনেত্রা কাজহাগাম (এআইএডিএমকে) রোববার চেন্নাইতে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে। সেই সভাতেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়টি ঠিক হবে।
রায়ের পর তামিলনাড়ুতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চেন্নাই ও তামিলনাড়ুর অন্যান্য অংশে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গেছে।
ওই এলাকায় মানুষ সংঘর্ষের আশঙ্কায় দোকান-পাট বন্ধ করে দিয়েছেন। কাঞ্চিপুরাম জেলায় বাসেও আগুন দিয়েছেন এআইএডিএমকে এর সমর্থকরা।
১৯৯৬ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা সুব্রমনিয়ম সোয়ামি। ১৮ বছর পর রায় ঘোষণা করা হলো।
মামলার বিষয়ে প্রসিকিউশন জানায়, ১৯৯১ সালে জয়ললিতা যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তার ৩ কোটি রুপির সম্পদ ছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার বেতন ছিল মাত্র এক রুপি। কারণ তিনি ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী হলে তিনি কোনো বেতন নেবেন না। অথচ ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে তার পরিবারের সম্পদের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি রুপিতে। যা তার তৎকালীন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো না।
অভিযোগে বলা হয়, জয়ললিতা দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি স্বর্ণের মালিক। তাছাড়া তার শাড়ির সংখ্যা ১২ হাজার বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। এছাড়া ১৯৯৬ সালে পালিত ছেলের বিয়েতে তিনি পাঁচ কোটি রুপি ব্যয় করেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণে সরকারের পক্ষে মোট দুইশ’ ৫৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আর সাবেক অভিনেত্রী জয়ললিতার পক্ষে সাক্ষ্য দেন ৯৯ জন। তবে জয়ললিতার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিরোধীরা কাজটি করেছেন।
** দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত জয়ললিতা
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪/আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা