ত্রিপোলি: শত্রুপক্ষের অবস্থান সনাক্ত করতে শনিবার লিবিয়ার আকাশে ফ্রান্সের বিমান উড়তে দেখা গেছে। ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
পশ্চিমা ও আরব বিশ্বের বেশ কিছু দেশ লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে প্যারিসে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি লিবিয়ায় সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি জানিয়েছেন, লিবিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা করতে এ হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি লিবিয়ার জন্য কূটনৈতিক খোলা আছে বলেও সারকোজি জানান।
এদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শনিবার বলেন, লিবিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা চালানোর সময় এসেছে। প্যারিসে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার তিনি এ কথা বলেন।
ক্যামেরন বলেন, ‘কর্নেল গাদ্দাফির কারণেই এটা হচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক মহলকে মিথ্যা কথা বলেছেন। তিনি অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিলেও তা করেননি। তিনি তার দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো অব্যাহত রেখেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘সেকারণে এখন সময় এসেছে। খুব দ্রুতই তৎপরতা শুরু করতে হবে। জাতিসংঘের ইচ্ছাকে আমরা বাস্তব রূপ দিতে যাচ্ছি। আমরা বেসামরিক লোকজনকে মরতে দিতে পারি না। ’
সারকোজি বলেন, ‘অংশীদারদের মতামতের ভিত্তিতে আমাদের বিমান কর্নেল গাদ্দাফির বিমানকে হামলা করতে বাধা দেবে। বেনগাজিতে আমাদের বিমান এরইমধ্যে এ কাজ শুরু করেছে। আমাদের বিমান গাদ্দাফির যে কোনো আগ্রাসন রুখে দেবে। ’
লিবিয়ায় সামরিক হামলা বিষয়ে প্যারিসের বৈঠকে অংশ নেয়, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, গ্রিস, পর্তুগাল পোল্যান্ড। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতৃবন্দ অংশ নেন।
লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন আরোপে ও হামলায় সহায়তা করবে বেলজিয়াম, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১