ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের তামিলনাড়ুর পদচ্যুত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে জামিন দিয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আগামী দু’তিনমাস চেন্নাইয়ের বাসভবনে অবস্থান করবেন বলে আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন জয়ললিতা। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগো আক্রান্ত তিনি।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালত তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। সেইসঙ্গে ১০০ কোটি রুপি জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী ওইদিনই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় তামিলনাড়ুর ‘আম্মা’ জয়ললিতাকে।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর জয়ললিতার দল অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাভিডা মুনেত্রা কাজহাগাম’র (এআইএডিএমকে) নাভান্নিথাকৃষ্ণান নামে এক মুখপাত্র জানান, জয়ললিতার আইনজীবী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আপিলের পর ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) কর্ণাটকের আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। ফলে তিন সপ্তাহ জয়ললিতাকে ব্যাঙ্গালুরুর কারাগারেই আটক থাকতে হয়।
১৯৯৬ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। ১৮ বছর পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার বিষয়ে প্রসিকিউশন জানায়, ১৯৯১ সালে জয়ললিতা যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তার ৩ কোটি রুপির সম্পদ ছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার বেতন ছিল মাত্র এক রুপি। কারণ তিনি ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী হলে তিনি কোনো বেতন নেবেন না। অথচ ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে তার পরিবারের সম্পদের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি রুপিতে। যা তার তৎকালীন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো না।
অভিযোগে বলা হয়, জয়ললিতা দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি স্বর্ণের মালিক। তাছাড়া তার শাড়ির সংখ্যা ১২ হাজার বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। এছাড়া ১৯৯৬ সালে পালিত ছেলের বিয়েতে তিনি পাঁচ কোটি রুপি ব্যয় করেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণে সরকারের পক্ষে মোট দুইশ’ ৫৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আর জয়ললিতার পক্ষে সাক্ষ্য দেন ৯৯ জন। তবে জয়ললিতার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিরোধীরা কাজটি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৪/আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা