ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা রোববার বলেছেন গাদ্দাফিকে উৎখাত করা পশ্চিমাদের লক্ষ্য নয়। খবর এএফপির।
তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে লিবিয়ায় একটি নো ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠাসহ দেশটির বেসামরিক জনগণকে রক্ষা করা। যদিও এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন এবং পশ্চিমা নেতারা বলে আসছিলেন গাদ্দাফিকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সামরিক হামলার প্রস্তাব অনুমোদনের পর থেকেই গাদ্দাফিকে চলে যাওয়ার সেই ডাক মিইয়ে যেতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মাইক মুলেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এই তিন দেশের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আকাশ পথে এবং নৌপথে যে আক্রমণ চালানো হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনীকে এই মুহূর্তেই থামানো। ’
মুলেন রোববার ফক্সনিউজকে বলেন, “আমরা এমন এক অবস্থায় আছি যে, এখন তিনি (গাদ্দাফি) কী করছেন তার উপর নির্ভর করছে আমরা কি করবো। ”
মুলেন জানান, ওবামা বলেছেন, এই হামলা সাময়িক এবং যুক্তরাষ্ট্র সেখানে কোনো সেনাবাহিনী নিয়োগ করবে না। এই মুহূর্তে মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থান বেনগাজিতে বেসামরিক জনগণকে রক্ষা করা।
তিনি বলেন, “ঠিক এই মুহূর্তে গাদ্দাফির পেছনে ছোটা এবং তাঁকে আক্রমণ করা আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। ”
এই হামলা হচ্ছে সীমিত এবং এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে তিনি (গাদ্দাফি) যাতে তার জনগণকে হত্যা বন্ধ করে এবং তাদের কাছে যাতে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো যায় সেই ব্যবস্থা করা।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমন্বয়ে গঠিত পশ্চিমা জোটের ইরাকে হামলার পর এ যাবৎ বৃহত্তম এই আক্রমণে ইতিমধ্যে লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে ১২০টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১১