ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমের হামলার মুখে লিবিয়ার অস্ত্র বিরতির ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১১
পশ্চিমের হামলার মুখে লিবিয়ার অস্ত্র বিরতির ঘোষণা

ত্রিপোলি: লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বেসামরিক জনগণের উপর হামলা বন্ধে ত্রিপোলিতে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে পশ্চিমা শক্তি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার আবারও অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দিয়েছে গাদ্দাফির সেনাবাহিনী।



একইসঙ্গে এ শত্রুতা বন্ধে আফ্রিকান ইউনিয়নের সহযোগিতারও দাবি জানিয়েছে দেশটি।

তবে ত্রিপোলি এ বিষয়ে মিথ্যা বলছে বা অচিরেই এ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে।        

একইসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘লিবিয়া তাদের কথা রাখবে বলে আমি আন্তরিকভাবে আশা করছি এবং তাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। তারা অব্যাহতভাবে বেসামরিক জনগণের উপর হামলা চালিয়ে আসছে। এখন তাদের এ প্রস্তাবের সত্যতার প্রমাণ দিতে হবে। ’

ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি প্রশাসনিক ভবন ধ্বংস করা হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক জানান। বিরোধীরা  এ এলাকাটি বিমান দিয়ে ঘিরে রেখেছে।

ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনটিতে গাদ্দাফি সাধারণত অতিথিদের সঙ্গে দেখা করতেন বলে লিবিয়ার মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, ‘এটা একটি বর্বরোচিত হামলা এবং এর ফলে ভবনটি থেকে ৪০০ মিটার দূরে থাকা শত শত বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিলো। ’

এ বিষয়ে তিনি ুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব বেসামরিক জনগণকে রক্ষার জন্য এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে। কিন্তু এখানে বেসামরিক নাগরিক থাকা সত্ত্বেও তারা এ জায়গায় হামলা চালিয়েছে। ’

তবে গাদ্দাফি বা তার আবাসিক এলাকায় হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে পেন্টাগনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সহকারী অ্যাডমিরাল বিল গোর্টনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাদ্দাফি আমাদের হামলার তালিকায় নেই বলে আমি আপনাদের নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। আমরা তার আবাসিক এলাকাকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করিনি। ’

এর আগে গাদ্দাফি বাহিনীর বেসামরিক জনগণের উপর সংঘটিত হামলা বন্ধে নো ফাই জোন আরোপ করাসহ ১৯৭৩ সালের আইনানুযায়ী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর পর পরই শুক্রবার প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দেয় গাদ্দাফি বাহিনী।

কিন্তু তারপরও তার বাহিনী বিরোধীদের দখল করা বেনগাজি শহরে হামলা অব্যাহত রাখার কারণে ওই আইনের আওতায় শনিবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স লিবিয়ায় বিমান হামলা শুরু করে।  

এতে অনেক বেসামরিক জনগণ নিহত হয়েছেন বলে ত্রিপোলি থেকে দাবি করা হলেও এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পেন্টাগন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।