টোকিও: জাপানে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে সরাসরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৮ হাজার ৫০০ কোটি থেকে ৩০ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে বুধবার দেশটির সরকারি হিসেবে জানা যায়। এর মধ্য এটা ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হতে যাচ্ছে বলেও জানা যায়।
এ হিসেবের মধ্যে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি- ঘর, কল- কারখানা এবং অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশাল এ ক্ষতির পরিমাণ ১৯৯৫ সালে কোবা ভূমিকম্পের ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে।
তবে এর মধ্যে ফুকুশিমার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিস্ফোরণ বা এর প্রভাবে সংঘটিত ক্ষতির পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বর্তমানে এ কেন্দ্রটি থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে কর্মীরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এক সংসদীয় কমিটিতে ব্যাংক অব জাপানের গর্ভনর মাসাকি শিরাকাওয়া বলেন, ‘এ ভূমিকম্পের কারণে জাপানের অর্থনৈতিক অবস্থা ও এর ফলাফল ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ’
এর মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার বিষয়টি সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে বলেও জানা যায়।
এদিকে দেশে পুনর্গঠনের জন্য দুটি বা তারও বেশি জরুরি বাজেট প্রয়োজন বলে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রাটিক দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা মঙ্গলবার মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে এপ্রিল বা মে মাসের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
তবে পুনর্গঠন কাজে অর্থায়নের বিষয়ে প্রথমে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েনসহ (১ ডলার= ৮১.০৬৫ জাপানি ইয়েন) ঋণের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেন।
গত ১১ মার্চ সংঘটিত ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ২২ হাজার লোক নিহত বা নিখোঁজ হন। এছাড়াও তিন লাখ ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হওয়াসহ জাপান ও এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১১