ত্রিপোলি: লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে পশ্চিমা জোট বাহিনীর হামলার ষষ্ঠদিন বিস্ফোরণ ও বিমান ধ্বংসকারী গুলিতে বৃহস্পতিবার কেঁপে উঠেছে দেশটির রাজধানী ত্রিপোলি।
একইসঙ্গে লিবিয়ার বিমান বাহিনী প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে বলে এক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে শনিবার ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুরু করা যৌথ হামলার দায়িত্ব ন্যাটো বাহিনীর কাছে হস্তান্তর বিষয়ে বৃহস্পতিবার ২৮টি মিত্র দেশ আবারও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে বলে ন্যাটোর এক কূটনীতিক জানান।
তবে তা সত্ত্বেও বিমান হামলার সাফল্য নিয়ে দেশগুলো তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর ভাইস মার্শাল গ্রেক ব্যাগওয়েলের মন্তব্যের মধ্য দিয়েই তা প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, ‘লিবিয়ার বিমান বাহিনী প্রায় পুরোই ধ্বংস হয়েছে এবং লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়েছে’।
একইসঙ্গে অব্যাহত চাপে গাদ্দাফি তার চার দশকের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন বলেও মার্কিন কর্মকর্তারা খোলাখুলিই অনুমান করছেন।
এদিকে রাজধানী থেকে ৩২ কিলোমিটার পূর্বের তাজুরার আবাসিক এলাকায় বুধবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এছাড়া একই সময় ত্রিপোলিতে যুদ্ধ বিমান উড়ে যাবার সময় বিমান বিধ্বংসী গুলির শব্দ শোনা যায় বলেও জানা গেছে।
তাজুরায় জোট বাহিনী তিনবার হামলা চালায়। এতে বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে সরকারি বার্তসংস্থা জানা সূত্রে জানা যায়।
পশ্চিমা যৌথ বাহিনীর পূর্বের হামলাগুলোয় নিহত এবং আহতদের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারের সময় তৃতীয় হামলাটি চালানো হয় বলে জানা যায়।
তবে কোনো পক্ষ থেকে এখনও এ হামলার ঘটনা নিশ্চিত করা হয়নি।
এদিকে গাদ্দাফিকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জোর দিয়ে বলেন। একইসঙ্গে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী এখন জোট বাহিনীর বিমান হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু বলে মার্কিন সেনাবাহিনীও স্বীকার করে নেয়।
লিবিয়া অভিযানের মার্কিন চীফ অব স্টাফ রিয়ার অ্যাডমিরাল জেরার্ড হুবার বলেন, ‘শহুরগুলোর জন্য হুমকীতে পরিণত হওয়া গাদ্দাফির বাহিনীর উপর আমরা এখন চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১