ইয়াঙ্গুন: মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে সংঘটিত শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৭৫ জনের বেশি নিহত এবং ১১১ জন আহত হয়েছেন। এতে ২৪০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মিয়ানমারের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তার্লে, মাইন লিন এবং তাচিলেইক এলাকায় ৭৫ জনেরও বেশি ব্যক্তি নিহত এবং কমপক্ষে ৯০ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ ভূমিকেম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে পৌঁছানো যাচ্ছে না। ’
বৃহস্পতিবার কেন্দ্র থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরের হ্যানয় এবং চীনের কিছু অংশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ ছিলো বলে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানায়।
এদিকে ভূমকম্পন কেন্দ্রের কাছের তার্লে শহরে হতাহতের আরও ঘটনা ঘটতে পারে বলে মিয়ানমারের এক কর্মকর্তা সতর্ক করে দেন। এছাড়া ভূমকম্পের সময় এক বালকসহ ১০ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী নিহত হন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শহরের ৫টি আশ্রম এবং ৩৫টি ভবন ভেঙ্গে গেছে। ভবনগুলো ধসে পড়ার সময়ই ওই ব্যক্তিরা নিহত হন। ’
তাচিলেইক জেলার তার্লেই শহরে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ায় ওই এলাকার প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় প্রধান শহর এবং প্রধান পর্যটন কেন্দ্র চিয়াং মাই থেকে ২৩৫ কিলোমিটার উত্তর- উত্তরপূর্ব এবং চিয়াং রাই থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এ সময় ব্যাংককের উঁচু ভবনগুলো কেঁপে উঠে।
ভূমিকম্পটির মূল কেন্দ্র থাইল্যান্ড ও লাওস সীমান্তের খুব কাছে ছিলো এবং এর গভীরতা ছিলো মাত্র ১০ কিলোমিটার।
প্রথম কম্পনের পর আরও ছয়বার মৃদু কম্পন অনুভূত হয় বলে শুক্রবার থাইল্যান্ডের আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে জাননো হয়।
তবে মিয়ানমারের এ ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ভারত মহাসাগর থেকে অনেক ভেতরে হওয়ায় কোনো প্রকার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে মার্কিন এক ভূকম্পবিদ জানান।
এর আগে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ বলে ইউএসজিএস থেকে বলা হলেও পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ৮ বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১১