ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে ‘দ্য গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০’ সম্মেলনের শেষ দিন রোববার (১৬ নভেম্বর) জোটভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।
বিশ্ব নেতাদের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে প্রত্যাশার চেয়েও ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মূলত অর্থনৈতিক বিষয় নিয়েই এ সম্মেলনে আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রথমদিনে প্রাধান্য পায় ইউক্রেন আর ইবোলা সংকট। ফলে বৈঠকে পশ্চিমা নেতাদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে।
সমালোচনাকারীদের মধ্যে অন্যতম হলেন, কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন।
তবে সম্মেলনের সমাপনী দিনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়েই আলোচনা হয়।
জি-২০ সামিটের শুরুতে বলা হয়, ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা শুধু রাশিয়াতেই নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এক বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোটকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক আইন ও সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর অবশ্যই নির্ভর করতে হবে। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির নিরাপত্তাসহ শান্তিতে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।
এছাড়া এশিয়া অঞ্চলের সংকট নিরসন প্রভাব, বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শনের ওপর ভিত্তি করে করা যাবে না। বরং এটা নিরসনে পারস্পরিক সমঝোতা, নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক আইনসহ অন্যান্য ইস্যুগুলোতে গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ওবামা।
তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেন, পুতিনের উচিত ইউক্রেন ইস্যু থেকে সরে যাওয়া।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওঁলাদের সঙ্গে বৈঠকে, ইউক্রেন সংকট নিরসনে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন। রাশিয়া আর ফ্রান্স মিলে আলোচনা করলে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ ক্ষমতাধর ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৪