ঢাকা: বিদেশিদের বসবাসের ভিসা অনুমোদনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পর্তুগালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
দুর্নীতিতে তার নাম জড়িয়ে পড়ায় এবং তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতায়ও তার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী মিগেল ম্যাসেডো।
তবে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
অর্থপাচার ও প্রভাব খাটিয়ে অর্থ আত্মসাৎ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার অভিবাসন পরিসেবা বিভাগের প্রধানসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাসেডো বলেন, এই ঘটনায় আমার ব্যক্তিগত কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সরকার ও রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষায় এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বসবাসের অনুমোদন দিয়ে ‘গোল্ডেন ভিসা’ সরবরাহ করে থাকে পর্তুগাল।
এই ভিসা পেলে চীনসহ ইইউ’র বাইরের ধনী রাষ্ট্রগুলোর বিনিয়োগকারীরা আটলান্টিক উপকূলবর্তী দেশটিতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।
কিন্তু সম্প্রতি এমন ভিসা প্রাপ্ত কিছু বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ করফাঁকি ও অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠায় সমালোচনার মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তার মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪