ত্রিপোলি: লিবিয়ার রাজধানীর পূর্বের শহরতলিতে অবস্থিত সেনা স্থাপনায় শনিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে লিবিয়ার বিক্ষোভকারীরা শনিবার দেশটির তেল সমৃদ্ধ শহর আজদাবিয়া দখল করে নেন বলে বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদক জানান।
পশ্চিমা বাহিনীর হামলার অষ্টম দিন সংঘটিত বিস্ফোরণে তাজুরা শহরতলির সেনা স্থাপনার একটি রাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে জানান। এ স্থানটিতে অনেক সেনা ঘাঁটি আছে বলেও জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই এলাকার এ বাসিন্দা বলেন, ‘পর পর তিনটি বিস্ফোরণে এলাকাটি কেঁপে উঠে। এতে ঘরবাড়ির জানালা ভেঙ্গে যায়। ’
সেনা স্থাপনার কাছাকাছি বসবাস করা ওই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘এ হামলায় মূলত সেনাবাহিনীর রাডারকে টার্গেট করা হয় এবং এতে এখনও আগুন জ্বলছে। ’
এদিকে গাদ্দাফি তার স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীকে সশস্ত্র করছেন বলে মার্কিন ভাইস অ্যাডমিরাল উইলিয়াম হোর্টনি দাবি করেন।
তবে বিমান ও সেনা স্থাপনা এরইমধ্যে প্রায় নিশ্চিহ্ণ হওয়ায় গাদ্দাফির বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছেন বলেও গোর্টনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘তার বিমান বাহিনী উড়তে পারেনা, তার যুদ্ধজাহাজ বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে, তার অস্ত্রের ভান্ডার, যোগাযোগের টাওয়ার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার কমান্ডদের ব্যাঙ্কারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ’
এদিকে লিবিয়ার হামলার অষ্টম দিন পশ্চিমা বাহিনী অভিযান অব্যাহত আছে। এ বাহিনী রাতব্যাপী আজদাবিয়াসহ বিভিন্ন শহর ও নগরে হামলা চালিয়েছে বলে এর বাসিন্দারা জানান। একইসঙ্গে তারা উপকূলীয় জালাইতেন শহরেও হামলা করে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সূত্রে জানা যায়।
এছাড়াও মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ এবং সাবমেরিন থেকে শুক্রবার আরও ১৬টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে পেন্টাগন থেকে জানানো হয়। এর মধ্য দিয়ে লিবিয়ায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকালে দেশটির তেলসমৃদ্ধ আজদাবিয়া শহর নিজেদের দখলে নিয়েছেন লিবিয়ার সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
এসময় পশ্চিমা বাহিনী আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে চলে যায় এবং বিক্ষোভকারীরা সতর্কতার সঙ্গে শহরটিতে প্রবেশ করে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে এবং ‘ভি’ চিহ্ণ দেখিয়ে বিজয় উদযাপন করেন।
এর আগে শুক্রবার পশ্চিমা বাহিনী এ শহরটিতে হামলা চালিয়ে এর উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১১