কাঠমাণ্ডু: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য শুক্রবার আরেকবার চেষ্টা করতে যাচ্ছে নেপালের সংসদ। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরা চলা দেশটির নেতৃত্ব শূন্যতা দূর হবে।
কে হবেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী? মাওবাদী দলের নেতা পুষ্প কমল দহল নাকি নেপালি কংগ্রেস দলের প্রধান রাম চন্দ্র পৌদেল? শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেবেন নেপালের জাতিয় সংসদের সদস্যরা। এর আগে গত বুধবার এরকম একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
তবে সংসদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে মাওবাদীরা দাবি করে আসছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১০ বছর যুদ্ধের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে মাওবাদীরা। কিন্তু, তৎকালীন সেনাপ্রধানকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিতর্কের জের ধরে ২০০৯ সালে তাদের পতন ঘটে।
এদিকে, খুব দ্রুত দেশটি সরকার গঠন করবে এবং নতুন সংবিধান কার্যকর করবে বলে বৃহস্পতিবার আশা প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, “সরকার গঠন নিয়ে নেপালের রাজনৈতিক নেতারা ঐক্যমতে পৌঁছবেন বলে আমরা আশা করছি। দেশটির স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তা প্রয়োজনীয়। ”
উল্লেখ্য, নেপালে গৃহযুদ্ধ পরবর্তী শান্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং নতুন জাতীয় সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য ২০০৮ সালে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংসদের মেয়াদ ছিলো দুই বছর। পরবর্তীতে মাওবাদী ও এর প্রতিদ্বন্দী দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় ক্ষমতাসীন সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ মূল দায়িত্বদুটি পালনে ব্যর্থ হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১০