ব্রাসেলস: লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের নেতৃত্ব নিতে রোববার সম্মত হয়েছে ন্যাটো। এদিকে জোট বাহিনীর এ অভিযানের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে ফ্রান্স।
ক্ষমতা হস্তান্তরের সামরিক পরিকল্পনার জন্য দিন শেষে ২৮টি মিত্র দেশের রাষ্ট্রদূত সদর দপ্তরে এক বৈঠকে বসেন। এর আগে ফ্রান্স ও তুরস্ক এর বিরোধিতা করায় এ বিষয়ে দীঘদিনের তর্ক-বিতর্কের পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতালির সমর্থনে খুব শিগরিই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে বলে ন্যাটো সূত্রে জানা যায়।
এক্ষেত্রে লিবিয়ায় হামলার নবম দিন জোট বাহিনী যেখানে দেশটির বিদ্রোহীদের সুবিধা দেওয়াসহ অস্ত্রের উপর অবরোধ ও নো ফ্লাই জোন আরোপের উপর জোর দিচ্ছে সেখানে বোমার হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার বিষয়েই বেশি মনোযোগী ন্যাটো।
তবে এ অভিযানের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, এ বিষয়টির এখনও কোনো মীমাংসা হয়নি।
ন্যাটোর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হলে আরব মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হবে বলে শুক্রবার ইইউ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি সতর্ক করে দেন।
তাই এ সমস্যার সমাধানের জন্য মঙ্গলবার মিত্র দেশগুলোর আয়োজিত লন্ডন সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু ২৮টি দেশের সেনা সংস্থার রাজনৈতিক ও সেনা কার্যক্রম আলাদা করা অসম্ভব বলে ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ন্যাটোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ক পরিষদ এবং সেনাবািহনীর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক কখনোই বিচ্ছিন্ন হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘন্টা, মার্চ ২৭, ২০১১