কারাকাস: কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার। শত শত বামপন্থী বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিয়েছে ভেনেজুয়েলা - কলম্বিয়ার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ।
এ বিষয়ে শ্যাভেজ সাংবাদিকদের বলেন, “এ মুহূর্ত থেকে ভেনেজুয়েলা কলম্বিয়ার সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করলো। ”
এ ঘোষণা দেওয়ার আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠকে বসেন শ্যাভেজ। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক ওই বৈঠকে অংশ নেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এলিয়াস জাউয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিকোলাস মাদুরো, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কার্লোস মাতা ফিগুয়েরোয়া ও অ্যাটর্নি জেনারেল লুইসা ওর্তেগা।
এ ঘোষণার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিকোলাস মাদুরো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভেনেজুয়েলা থেকে কলম্বিয়ার কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করাসহ দেশটির দূতাবাস বন্ধের সময়সীমা বেঁধে দেন।
কলম্বিয়ার সরকারের অভিযোগ, কলম্বিয়ার বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী (ফার্ক) এবং জাতীয় লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) নামের বিদ্রোহী দলগুলোকে ভেনেজুয়েলা আশ্রয় দিয়েছে। দলগুলো তাঁদের আশ্রয় নেওয়ার ঘাঁটি হিসেবে ভেনেজুয়েলাকে ব্যবহার করছে।
গত সপ্তাহে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালভারো ইউরাইব বলেন, ভেনেজুয়েলায় সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে কলম্বিয়ায় হামলার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে নাকচ করে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্যাভেজ। এর একদিন পর, কারাকাস থেকে তাদের কূটনীতিক প্রত্যাহার করে নেয় কলম্বিয়া ।
এদিকে, আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো তাদের মধ্যকার পার্থক্য কমিয়ে আনবে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন উভয় পক্ষকে আর কোনো দ্বন্দ্বে না জড়ানোর আহ্বান জানান। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বার্তায় জানানো হয় সম্পর্ক ছিন্ন করা সঠিক পথ নয়।
এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সীমান্তের বিদ্রোহী ক্যাম্প গুড়িয়ে দিতে কলম্বিয়া ইকুয়েডরে হামলা চালালে তা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১০