ঢাকা: একই মঞ্চে বসা ছিলেন দু’জন। দু’জনই পরস্পরের বক্তব্য শুনেছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে দুই প্রভাবশালী দেশের সরকার প্রধানের ‘সৌজন্যবোধটুকুও’ প্রকাশ না করার বিষয়টিই এখন এ অঞ্চলের সংবাদ মাধ্যমগুলোর অন্যতম প্রধান আধেয় হয়ে উঠেছে।
বলা হচ্ছে, যে দু’টি রাষ্ট্রের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়া সার্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আসিয়ানের মতো শক্তিশালী সংস্থার রূপ দিতে স্বপ্ন দেখছে, সে দু’টি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানের এতো কাছে এসেও এতো দূরত্ব বজায় রাখাটা সহযোগিতার মানসিকতার অভাবেরই প্রকাশ ঘটাচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া তো এক কাঠি এগিয়ে এ সংক্রান্ত নিউজের শিরোনামই করলো- ‘নো মিটিং, নো এক্সচেঞ্জ অব কার্টেসিস বিটউইন মোদি অ্যান্ড নওয়াজ অ্যাট সার্ক সামিট’।
সার্ক শীর্ষ সম্মেলন সূত্র জানায়, চির বৈরি দু’দেশের সরকারপ্রধান সম্মেলনে এতোই দূরত্ব বজায় রেখে থেকেছেন যে, আট সরকারপ্রধানের মঞ্চে মোদি ও নওয়াজের মাঝখানে কেবল মালদ্বীপ ও নেপালের সরকারপ্রধানদ্বয় বসলেও এ দু’জন একে অপরের দিকে তাকাননি পর্যন্ত। এমনকি নওয়াজ যখন মোদিকে অতিক্রম করে ডায়াসে বক্তৃতা রাখতে যাচ্ছিলেন এবং বক্তৃতা রেখে ফিরছিলেন তখনও কেউ কারও দিকে মুখ ফেরাননি। উপরুন্ত তখন মোদিকে সম্মেলনের পুস্তিকায় মগ্ন থাকতেই দেখা গেছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্মেলন শুরুর আগে দু’জন কেবল একবার করমর্দন করেছেন।
দু’জন পরস্পরকে এড়িয়ে চললেও সার্ক সম্মেলনের ফাঁকে আবার দু’জনই অপর রাষ্ট্রগুলোর সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
অবশ্য পূর্ব নির্ধারিত কোনো বৈঠক না থাকলেও বৃহস্পতিবার সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মোদি ও নওয়াজ কুশল বিনিময় করবেন এবং সার্ক নিয়ে এ জনপদের মানুষের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪