ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জাপানের পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১
জাপানের পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

টোকিও: জাপানের ভূমিকম্প ও সুনামি বিধ্বস্ত পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করে ফেলা উচিত বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান মন্তব্য করেছেন। কিয়োদো নিউজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।



কান জাপানের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকে ফুকুশিমার দাইচি পরমাণু কেন্দ্রটি ধ্বংস করে ফেলার কথা জানান বলে কিয়োদো উল্লেখ করে।  

এদিকে বিধ্বস্ত এ কেন্দ্রটির পাশ্ববর্তী আর কোনো এলাকা এখনই খালি করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে বৃহস্পতিবার দেশটি জানায়। জাতিসংঘ পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের উল্লেখ করার কয়েক ঘণ্টা পরই জাপান এ মন্তব্য করে।

তবে কেন্দ্রের পাশ্ববর্তী সমুদ্রে আয়োডিন- ১৩১ এর মাত্রা বৃহস্পতিবার এর স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় চার হাজার ৩৮৫ গুণ বেশি বলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিচালক টিইপিসিও জানায়।

একই সময়ে বিধ্বস্ত কেন্দ্রটির ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম পর্যন্ত তেজস্ক্রিয়া পৌঁছে গেছে বলে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়। ফলে সংস্থাটি থেকে পরমাণু কেন্দ্রটির চারপাশের আরও ২০ কিলোমিটার এলাকা খালি করার জন্য জাপানের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়।

তবে এর আরও বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই লাইতেত গ্রাম থেকে বিশেষত শিশু এবং অন্তঃসত্তা¡ নারীদের সরে যাওয়ার জন্য বলে আসছে গ্রিনপিস।

তবে এ বিষয়ে জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়ুকিয়ো এদানোর কাছে জানতে চাওয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে এখনই এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কিন্তু মাটিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেশি থাকায় দীর্ঘমেয়াদে তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ’

‘তবে যাই হোক না কেন, আমরা নিয়মিত এটি পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনানুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’

জাপানে গত ১১ মার্চ সংঘটিত ভূমিকম্প এবং সুনামির তিন সপ্তাহ পরও বিধ্বস্ত পরমাণু কেন্দ্রের অবস্থা একই আছে। পর পর দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর কেন্দ্রটির শীতলীকরণ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডসহ তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।