ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লিবিয়া অভিযানের নেতৃত্ব নিল ন্যাটো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১
লিবিয়া অভিযানের নেতৃত্ব নিল ন্যাটো

ব্রাসেলস: অবশেষে লিবিয়া অভিযানের পুরো নেতৃত্ব নিয়েছে ন্যাটো। বৃহস্পতিবার এ সংস্থাটির হাতে পুরো ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃতে ২৮টি মিত্র দেশ সীমিত আকারে লিবিয়ায় বোমা হামলা চালাবে বলে জানা যায়। খবর এএফপির।

অভিযানের নেতৃত্ব নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল অবসানের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা এবং অন্য জোটভুক্ত দেশগুলোর সব যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান ন্যাটোর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ন্যাটো মহাসচিব অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গ্রিনিচ সময় সকাল ৬টায় ন্যাটো লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক বিমান হামলার দায়িত্ব নিয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের আইনানুযায়ী হুমকি থেকে লিবিয়ার বেসামরিক নাগরিক ও বেসামরিক নাগরিক অধ্যুষিত এলাকা রক্ষা করাই হবে ন্যাটোর মূল দায়িত্ব। ’

তবে মূলত বুধবার থেকেই বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের যুদ্ধ বিমান ও সামরিক সরঞ্জাম ন্যাটোর অধীনে চলে যায় এবং বৃহস্পতিবার ভোরে এ প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন হয়।

বহুসংখ্যক যুদ্ধবিমান জাতীয় থেকে জোট বাহিনীর নেতৃত্ব নেওয়ার জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ের একদিন পর এ প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে ন্যাটোর এক কূটনীতিক জানান।

এর আগে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ‘প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপের’ আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক এবং বেলজিয়ামের যুদ্ধবিমান গাদ্দাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়।

কিন্তু এ বোমা হামলা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ন্যাটো । একইসঙ্গে এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য বিমান হামলা নয় বলেও গত ১৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে ন্যাটোর প্রধান মুসলিম সদস্য দেশ তুরস্ক।

এছাড়া ন্যাটোর অপর সদস্য দেশ জার্মানিও নিরাপত্তা পরিষদের আইনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। মূলত এ আইনের আওতায় জোট বাহিনী অব্যাহতভাবে বিমান থেকে লিবিয়ায় বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে।

তবে সম্পদের ঘাটতির কারণেও ন্যাটোভুক্ত অনেক দেশ এ হামলায় যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

এদিকে, ন্যাটো আরব দেশগুলোকেও এ অভিযানে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে এখনও পর্যন্ত শুধু কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতই অভিযানে তাদের যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।

সুইডেন যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়ে সম্মত হলেও ভূমিতে হামলা চালানোর বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

অস্ত্রের ওপর অবরোধ আরোপের জন্য গত সপ্তাহ থেকে লিবিয়ার উপকূল পাহারা দিচ্ছে ন্যাটোর যুদ্ধজাহাজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।