ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লিবিয়া যুদ্ধের কারণ?

গাদ্দাফি তেল সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১
গাদ্দাফি তেল সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন

ঢাকা: লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ২০০৯ সালে বিভিন্ন বিদেশি তেল কোম্পানিকে জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে, কানাডা ও ইতালির কোম্পানি রয়েছে।



২০০৯-এর ২৫ জানুয়ারি গাদ্দাফি ঘোষণা দেন, তেলের কম মূল্যের কারণে তার দেশ বিভিন্ন বিদেশি তেল কোম্পানিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা ভাবছে। সেসময় তিনি বলেন, ‘দ্রুত তেলের দাম কমে যাওয়ার কারণে তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর উচিৎ তেলখাতকে জাতীয়করণ করা। বিষয়টিকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা দরকার। ’

গাদ্দাফি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে তেলখাতকে অবশ্যই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে, যাতে আমরা উৎপাদন বাড়িয়ে বা কমিয়ে তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ’

গাদ্দাফির এ ঘোষণার পর বিদেশিগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এগুলোর মধ্যে আছে, অ্যাংলো-ডাচ শেল, ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সোনমবিল, হেস কর্পোরেশন, ম্যারাথন অয়েল, অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়াম ও কনোকোফিলিপস, স্পেনের রেপসল, জার্মানির উইন্টারশাল, অস্ট্রিয়ার ওএমভি, নরওয়ের স্টেটয়েল, এনি ও কানাডার পেট্রো কানাডা।

২০০৮ সালে লিবিয়ার সরকারি তেল কোম্পানি ন্যাশনাল ওয়েল একটি প্রতিবেতন তৈরি করে। এতে উৎপাদন অংশীদারী চুক্তি পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়, যাতে সরকার তেল থেকে রাজস্ব বেশি পায়। এর ফলে তেল থেকে লিবিয়া ৫৪০ কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব পায়।

বিশ্লেষকদের ধারণা, লিবিয়ার তেল দখলে নিতেই নো ফ্লাই জোন আরোপের নামে সামরিক চালানো হয়েছে। বিখ্যাত মার্কিন বুদ্ধিজীবী ও ভাষাতাত্ত্বিক নোয়াম চমস্কিও জেডনেটে একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।