ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘মাতৃদুগ্ধের’ স্বাদ গাভীর দুধে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১১
‘মাতৃদুগ্ধের’ স্বাদ গাভীর দুধে

লন্ডন: জৈবগত রূপান্তর (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড) ঘটিয়ে বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের গাভী উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন যা থেকে ‘মানবদুধ’ পাওয়া সম্ভব। খবর সিফির।



মানুষের স্তনের দুধে যে উপাদান থাকে সেই উপাদানই ওই গাভীর দুধ থেকে পাওয়া সম্ভব বলে তারা জানান। বিজ্ঞানীরা ৩০০টি গরুতে মানুষের জিন প্রয়োগ করে এ ফলাফল পেয়েছেন।

মানুষের দুধে উচ্চমাত্রার পুষ্টিকর উপাদান থাকে, এতে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স ওয়ান নামের এক জার্নালে এ খবর বেরোয়।

এ গবেষণার কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা জানান, জৈবগত রূপান্তরের মাধ্যমে উৎপাদিত গাভীর দুধ মাতৃদুগ্ধের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। চীনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নিং লি এ গবেষণা পরিচালনা করেন। তার মতে, ‘সাধারণ দুধের মতোই নিরাপদে এই দুধ পান করা যাবে। সাধারণ দুধের চেয়ে এটা বেশি সুস্বাদু। ’

তিনি বলেন, ‘আগামী তিন বছরে এ খাতে আমরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবেষণার কাজ করতে যাচ্ছি। মানুষের-মতো-দুধ খরিদ্দারের কাপে দেওয়ার জন্য আরও ১০ বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। ’

ইউরোপের চেয়ে জৈবগত রূপান্তর খাদ্যের গবেষণায় চীন অনেক এগিয়ে আছে। খামারের গাভীর ডিএনএ-তে মানুষের জিন প্রয়োগ করতে চীন ক্লোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

চীনের বিজ্ঞানীরা জানান, ইতিমধ্যে তারা মানুষের দুধের উপাদান লাইসোজাইম ও ল্যাক্টোফেরিন (দুই ধরনের প্রোটিন) সমৃদ্ধ গরুর উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।