সানা: ইয়েমেনের তায়েজ শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সোমবার নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে কমপক্ষে ১৫ নিহত হয়। এ সময় বহু মানুষ আহত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তায়েজের অস্থায়ী হাসপাতালের প্রধান সাদেক আল-শুজা বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়ে গেছে। ’ এর আগে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১০ জন বলে জানানো হয়।
রাজধানী সানা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে শহরের সরকারি সদর দপ্তরে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করলে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বেধে যায়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহর সালেহর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা সরকারের আদালত চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করলে সাদা পোশাকধারী প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর সরাসরি গুলি চালায়।
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে কয়েকজনের গায়ে সরাসরি গুলি লাগে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসও নিক্ষেপ করে।
এদিকে, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী অবদুল্লাহ সালেহ বিরোধীদের রাস্তায় বিক্ষোভ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সালেহর পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীরা টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, সানা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে হুদায়দাহ শহরে পুলিশের সঙ্গে লাখো বিক্ষোভকারীর সংঘর্ষে রোববার রাতে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা কাছ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিরোধী কমন ফোরাম শনিবার সালেহর উদ্দেশে ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদ্রাবুহর মনসুরের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে প্রেসিডেন্ট সালেহ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংবিধান মতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায়। সালেহ আল কায়েদা বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সালেহর অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে । সরকার থেকে তার পদত্যাগ করা উচিৎ বলে তারা মনে করেন। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর বেরোয়। এতে আরও বলা হয়, সালেহর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আরও এক সপ্তাহ আগেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
গত ১৮ মার্চ সরকার বিরোধী বিক্ষোভে রাজধানী সানায় সালেহর অনুগত বাহিনীর গুলিতে ৫২ জন আন্দোলনকারী নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১১