ত্রিপোলি: বিদ্রোহীরা অস্ত্রসমর্পণ করলে মুয়াম্মার গাদ্দাফির সরকার তাদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে আলোচনায় বসবে। লিবিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার রাতে কাইম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রথমে বিক্ষোভকারীদের অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। তারপর তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে।
পুরো প্রক্রিয়ায় যেন কোনো সন্দেহ না থাকে এজন্য বিদ্রোহীদের আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা নিতে হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, লিবিয়ার সংকট নিরসনে কার্যকর উপায় খোঁজার জন্য আগামী সপ্তাহে আফ্র্রিকান ইউনিয়নের নেতারা লিবিয়া সফরে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ এপ্রিল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্যরাও লিবিয়া সফর করবেন।
কাইম বলেন, জাতীয় পরিবর্তনকামী পরিষদ লিবিয়ার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না।
সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য আলোচনা শুরু করা যেতে পারে৷ লিবিয়ায় নির্বাচন হতে পারে৷ প্রয়োজনে সংবিধানেও পরিবর্তন আনা যেতে পারে৷ কিন্তু এ সবকিছুই গাদ্দাফির নেতৃত্বে হতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
ন্যাটো বাহিনীর নেতৃত্বে লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন আরোপের লক্ষ্যে বিমান হামলা চলছে। লিবিয়ার বিদ্রোহী ও বেসামরিক লোকজনকে এ হামলা বলে পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি। অভিযোগ রয়েছে, ন্যাটোর বিমান হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩, এপ্রিল ০৬, ২০১১