ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নেপালের ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে চারশ’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
নেপালের ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে চারশ’

ঢাকা: শনিবার আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে এখন পর্যন্ত সাড়ে চারশ’ মানুষের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

নেপালের পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক কমল সিং বামের উদ্ধৃতি দিয়ে ৪৪৯ জন মানুষের প্রাণহানির সংবাদ পরিবেশন করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।



শনিবার (২৫ এপ্রিল) নেপালের স্থানীয় সময় ১১টা ৪১ মিনিটে (বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২টা ১১ মিনিট) আঘাত হানে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো রাজধানী কাঠমান্ডুর অদূরে পোখারার নিকটবর্তী লামজুংয়ের ভূগর্ভের ৯.৩ মাইল গভীরে।

মূল কম্পনের আগে পরে অনুভূত হয় আরও বেশ কয়েকটি কম্পন।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী প্রথম ভূমিকম্পটির ২৬ মিনিট পর দ্বিতীয় এবং ৮ মিনিট পর তৃতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন মাত্রার মোট ১৫-১৭টি কম্পন অনুভূত হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।

রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও নাগরকোট, কোদারি ও পানাওতি সহ পুরো নেপাল জুড়েই অনুভূত হয় এই কম্পন।

ভূমিকম্পে পুরো নেপাল জুড়েই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেড় শতাধিক প্রাণহানির কথা জানালেও পরবর্তীতে মৃত্যুর তথ্য দফায় দফায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন ভবন ধসে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বহু প্রাচীন মন্দির ও স্থাপনা। বহু মানুষ এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপে এখনও চাপা পড়ে আছেন।

ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুতে নয় তলা বিশিষ্ট একটি প্রাচীন টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ে। এর নিচে চার শতাধিক মানুষ চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
 
এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই এভারেস্ট শৃঙ্গ ও আশপাশের বেশ কয়েকটি পর্বতে তুষার ধস  হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এভারেস্টের একটি বেস ক্যাম্পে অবস্থানরত পবর্তরোহী অ্যালেক্স গ্যাভেন। ইতোমধ্যেই ভূমিকম্প পরবর্তী তুষারধসে এভারেস্ট সংলগ্ন এলাকায় ৮ পবর্তরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়।

কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়েতে ফাঁটল দেখা দেয়ায় বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভূমি ধস ও পাহাড় ধসে কাঠমান্ডুর সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগ রক্ষাকারী বেশ কয়েকটি সড়ক মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

নেপাল ছাড়াও ভূমিকম্পে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী ভারত। নেপাল সীমান্তবর্তী ভারতের বিহার রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম সহ ভারতের অন্যান্য স্থানেও ভূমিকম্পন অনুভূত হয়।

** নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত দেড় শতাধিক
** ভূমিকম্পে নেপালে ব্যাপক ভূমিধস
** ভবন ধসে শত শত আটকা

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।