ঢাকা: আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের দেশ বুর্কিনা ফাসোয় অভ্যুত্থান করে রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিলুপ্তিরও ঘোষণা দিয়েছে তারা।
জাতীয় নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় বেতার ও সম্প্রচারমাধ্যমে এ অভ্যুত্থান ঘোষণা করা হয়। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেন প্রভাবশালী প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের নেতৃস্থানীয় লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামাদৌ বাম্বা।
তিনি বলেন, ‘বিপথগামী শাসনের’ অবসান ঘটাতে নতুন একটি ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক পরিষদ’ ক্ষমতা নিচ্ছে।
অবশ্য অভ্যুত্থানের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ক’দিন আগে অভিজাত প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড ইউনিটের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার পর থেকেই। শেষ পর্যন্ত সে আশঙ্কাই সত্য হলো।
সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপকে ‘স্পষ্টত অভ্যুত্থান’ হিসেবে দেখছেন অন্তর্বর্তীকালীন সংসদের স্পিকার শেরিফ সি।
দেশটির রাজধানী ওয়াগাদৌগৌতে কর্মরত ফ্যানি নাওরো নামে এক সাংবাদিক জানান, রাজধানীর মূল চত্বর ও প্রধান প্রধান রাস্তায় গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে ভীতি ছড়ানোর উদ্দেশে এ গুলি ছুঁড়ছে সেনাসদস্যরা।
ওই সাংবাদিক জানান, সাঁজোয়া যান নিয়ে সড়কে সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। তবে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে কেউ কিছু জানে না। তারা বেঁচে আছেন কিনা সে বিষয়েও কোনো তথ্য মিলছে না।
১১ অক্টোবর দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও গঠিত হয়েছিল। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে কয়েক দশকের প্রেসিডেন্ট ব্লেজ কমপাওরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ওই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫/আপডেট ১৫০১ ঘণ্টা/আপডেট ১৬২৯ ঘণ্টা
এইচএ