ঢাকা: দীর্ঘ আলোচনার পর বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পাদন করেছে মায়ানমার সরকার। তবে দেশটিতে সক্রিয় ১৫টি বিদ্রোহী সংগঠনের সাতটিই এ আলোচনার আওতার বাইরে থেকে গেছে।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে টানা দু’বছর আলোচনার পর বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানী নেপিডোতে এ শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে।
তবে স্বাক্ষর করা সবগুলো বিদ্রোহী সংগঠনই সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হিসেবে এতে সম্মতি জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে এখনই দেশটিতে সংঘাতের অবসান আশা করা অনুচিত হবে। আর সরকার আশা করছে, সংকট সমাধানে রাজনৈতিক পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হতে পারে এই চুক্তি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বড় বিদ্রোহী সংগঠনগুলোই চুক্তিতে অনুপস্থিত। এগুলোর মধ্যে অন্যতম - ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি (ইউডব্লিউএসএ) ও দ্য কাচিন ইনডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)। কেআইও’র সামরিক শাখা কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায়ই মায়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, যে সাতটি সংগঠন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, তারাও খুব বেশি দূরে নেই। তাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে এরই মধ্যে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভের পরপরই মায়ানমারে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বিভিন্ন স্থানীয় বিদ্রোহী সংগঠন দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
আরএইচ