ঢাকা: বেড়েই চলেছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সহিংসতার মাত্রা। নেতানিয়াহুর দমন নীতি ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের পর থেকে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দেশটির বাহিনী।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকালে জেরুজালেমে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি যুবক নিহত ও এক নারী আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৪ দিনে ৩২ ফিলিস্তিনি ও চার ইসরায়েলি নিহত হলেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুই সহস্রাধিক মানুষ।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি এক যুবককে তল্লাশি চালানোর সময় সে হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে ওই যুবক নিহত হয়। এরই চার ঘণ্টা পর ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে ২৩ বছর বয়সী অপর এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়। তাকেও হামলাকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পূর্বঘোষিত দমন নীতি অনুমোদন পায়। এতে জেরুসালেমের সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে কারফিউ জারি, গণপরিবহনে পুলিশ মোতায়েন, ‘সন্ত্রাসী’ ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ প্রভৃতি নিপীড়নমূলক সিদ্ধান্তের প্রস্তাব করেছিলেন নেতানিয়াহু।
এরই অংশ হিসেবে দেশটির বিভিন্ন শহরে ও সড়কে সামরিক বাহিনীর ছয়টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেরুজালেমের আরব এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের গণ-নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী গিলাদ ইরদানের একটি প্রস্তাব দেশটির নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন পেয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তির লাশ নিতে পারবে না নিহতের পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
আরএইচএস/আরএইচ