ঢাকা: টানা ১১ ঘণ্টা হিলারি ক্লিনটনকে স্রেফ ভাজা ভাজা করে ছাড়লো রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত একটি কংগ্রেসনাল কমিটি। লিবিয়ার বেনগাজি হামলার ঘটনায় ওই কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।
তবে তাতে সংশ্লিষ্ট ট্রাজেডি নিয়ে প্রশ্ন খুব কমই দেখেছেন দর্শকরা। সে সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসেস ক্লিনটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার লোকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। কিন্তু এ ব্যাপারে খুব একটা জিজ্ঞাসাবাদ না করে বরং আসছে বছরের নির্বাচনকে সামনে রেখে হিলার রাজনৈতিক ভবিষ্যত ক্ষুণ্ন করার লড়াইয়েই যেনো নেমেছিলেন কংগ্রেসনাল কমিটির সদস্যরা।
তবে মুখ শুকিয়ে এলেও হাসি ছড়িয়ে সবকিছুর জবাব দিয়েছেন হিলারি। অনেক আমেরিকান- এমনকি সগোত্রীয় ডেমোক্রেটরাও হিলারির এড়িয়ে যাওয়া উত্তরে খুশি হতে পারেননি। বিশেষ করে, তার দায়িত্ব পালনকালে সরকারের আইন ভেঙে কেনো তিনি অফিসিয়াল ইমেইল বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন, তার সদুত্তর এবারও মেলেনি। আর কেনইবা স্রেফ ব্যক্তিগত দাবি করে তিনি মুছে দিয়েছিলেন ৬০ হাজার ইমেইল, সে প্রশ্নেরও পরিস্কার কোনো জবাব মেলেনি।
সবশেষ জরিপগুলো দেখাচ্ছে, ৫০ ভাগ আমেরিকান এখনও ইমেইল বিতর্কের এই বিষয়টি তার স্রেফ ‘নিরপরাধ’ ভুল বলে মনে করতে পারছেন না।
আর প্রতিপক্ষ এখনও এই ইমেইল কেলেঙ্কারিকেই তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে দেখছে, যাতে করে হিলারিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরানো যায়। যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রার্থীতার লড়াইয়ে থাকছেন না।
প্রতিপক্ষের ভয়, রিপাবলিকানদের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে যদি হিলারিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমেরিকা বুঝি আরও একবারের জন্য ক্লিনটন পরিবারের দাপুটে শাসনের অধীনে চলে যাবে।
কোনো সন্দেহ নেই রক্ষণশীলদের তরবারিগুলো হিলারির বিরুদ্ধে এখন খাপমুক্ত হয়েছে, তবে তার ধার এতোটা বেশি নয়, যতোটা বিস্ফোরক হয়ে এই সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে নতুন একটি বই। তাতে হিলারিকে কপট নারীকূলের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তুলে ধরতে এতোটুকু কার্পণ্য করেননি লেখক।
‘দ্য ক্লিনটনস, ওয়ার অন উইমেন’ নামের এই বইয়ে রিপাবলিকান সাবেক সিনিয়র অ্যাডভাইজর রজার স্টোন, যিনি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টাও বটে, আর ইতিহাস রচয়িতা রবার্ট মোরো মিসেস ক্লিনটনের তার স্বামীর যৌনাচরণের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকার পথ-পদ্ধতিতেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন।
তারা বলেছেন, নারীরা একের পর এক তার স্বামীর যৌন লালসার শিকার হওয়ার দাবি করে গেলেও, মিসেস ক্লিনটন যেনো নির্বিকার থাকার উপায় শিখে নিয়েছেন। বইয়ের মতে, এই অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, ষাটের দশকের এক সহপাঠীর সঙ্গে যৌনতা। ক্লিনটন তখন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির রোডস স্কলার।
লেখকদ্বয় বিল ক্লিনটনের হোয়াইট হাউজ পরবর্তী সময়ে সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত পায়ুকামী জেফ্রে এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ব্রিটেনের প্রিন্ট এন্ড্রুর সঙ্গেও রয়েছে এই জেফ্রের বন্ধুত্ব।
হিলারির বদমেজাজ নিয়ে নতুন নতুন তথ্যও এসেছে এই বইয়ে। স্বামীর ওপর তার নিয়মিত অত্যাচার, অগ্নিমূর্তি ধারণ করার কথা এসেছে। হিলারিকে বাইসেক্সুয়াল বলে উল্লেখ করা হয়েছে, আর প্রশ্ন তোলা হয়েছে মেয়ে চেলসির জন্ম নিয়েও। বলা হয়েছে, হতে পারে চেলসি বিল ক্লিনটনের ঔরসজাত সন্তান নন।
বইটি রচনায় কোনো কাঠামোর ধার ধারেননি লেখকরা। তবে অ্যামজনের বেস্ট সেলারদের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার দিকেই পাল তুলেছে এটি। ‘আমেরিকানরা বড় কোনো ভুল করে বসার আগেই তাদের শিক্ষিত করে তুলতে চেয়েছি’, বললেন রজার স্টোন।
‘আসল হিলারিকে চিনে নিতে হবে দেশের জনগণকে। তিনি স্রেফ কোনো হাসিমুখো নানীমা নন, তার কুচক্রী, অহংসর্বস্ব, বদমেজাজি রূপটির কথাও দেশবাসীর জানা উচিত। ’
অধিকাংশ আমেরিকানই হয়তো ১৯৯৮ সালে হোয়াইট হাউস ইনটার্ন মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে ক্লিনটনের যৌন কেলেঙ্কারির কথা, তার নীল পোশাকের সেই কাহিনী ভুলে গেছেন। ক্লিনটন যে সেবার টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে মিথ্যাচার করেছিলেন, তা পরে লিউনস্কিকে জিজ্ঞাসাবাদেই নিশ্চিত হওয়া গেছে, সে কথাও রসিয়ে রসিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই বইয়ে।
বলা হয়েছে, ওই সব নারীরা কিন্তু খুব স্বেচ্ছায় ক্লিনটনের বাহুতে ধরা দেননি। তার বিরুদ্ধে যৌনাপরাধের প্রথম যে অভিযোগটি এতে স্থান পেয়েছে, সেটি ১৯৬৯ সালের। ক্লিনটন তখন অক্সফোর্ডে। যদিও তার ত্রিশ বছর পর এ অভিযোগ বেশ জোরের সঙ্গে অস্বীকার করেন তিনি।
বর্ণনায় বলা হয়েছে, ক্লিনটন তখন ২৩ বছরের। ১৯ বছরের এক তরুণী ছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় একটি পাবে। সেবার তাদের মধ্যে সম্পর্ক যৌনতায় গড়ায়। তবে মেয়েটির বাবা-মা এনিয়ে আদালতে যেতে আগ্রহী ছিলেন না। অক্সফোর্ডের ডিগ্রি কেনো শেষ করা হয়নি ক্লিনটনের, সে নিয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা আগে কখনোই পাওয়া যায়নি, কিন্তু এই বইয়ে ওই যৌন কেলেঙ্কারিকেই টেনে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই কারণে কর্তৃপক্ষ বেশ নাখোশ ছিলো।
২০০৪ সালে ক্লিনটন যে আত্মজীবনী লিখেছেন, তাতে কিন্তু সেই উনবিংশীর কথা ঘুণাক্ষরেও স্থান পায়নি। অন্য নারীদের কথাও আসেনি যারা অভিযোগ করেছেন, ক্লিনটন তাদের যৌন নিপীড়ণ করেছিলেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন হোয়াইট হাউস সহকারী ক্যাথলিন উইলি। তার অভিযোগ, ১৯৯৩ সালে একবার ক্লিনটন ওভাল অফিসের ভেতর জোর করে তাকে জাপটে ধরেছিলেন।
বইয়ের প্রাককথনে মিসেস উইলির কথা এসেছে এইভাবে যে, তিনি নাকি হিলারিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর লড়াইয়ে দেখে যারপরনাই বিরক্ত। হিলারি নাকি তার পেছনে ফেউ লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে আর সন্তানদের হুমকি দিয়েছিলেন, এমনকি একটি পোষা বিড়ালকে হত্যাও করিয়েছিলেন।
অন্য নারীরাও ক্লিনটন শিবির থেকে হুমকির কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, তারা ওই অভিযোগ তুলে চাকরি হারিয়েছেন, ট্যাক্স অফিসের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন, আজেবাজে ফোনকল পেয়েছেন আর মাঝেমধ্যেই পথিমথ্যে অপরিচিতের কাছে শুনতে হয়েছে এই প্রশ্ন- তোমার ছেলেমেয়েরা কেমন আছে?
‘কেবল একা আমিই নই’, লিখেছেন মিস উইলি, ‘হিলারি কিংবা তার স্বামীর জন্য ক্ষতির হতে পারে এমন প্রতিটি নারীই তার হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। ’
এক সময় তিনি ক্লিনটনদের আত্মনিয়োজিত সমর্থক ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন উইলি। তবে নারী অধিকারে চ্যাম্পিয়ন বলে মিসেস ক্লিনটনকে আর প্রগতিশীলতার দূত হিসেবে ক্লিনটন দম্পতিকে মেনে নিতে নারাজ তিনি।
সমালোচনায় পূর্ণ বইটিতে এসেছে পলা জোন্সের কথাও। তিনিও মিসেস ক্লিনটনের এই প্রার্থীতার দৌড়ে সামিল হওয়ার বিরুদ্ধে। লিটল রকের মোটেল রুমে ক্লিনটন একবার তার ওপর চড়াও হয়েছিলেন, তা আদালতে প্রমাণ করে আরকানসাসের এই নারীকর্মী আট লাখ ৫০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ জিতে নিয়েছেন। পলা বলেছেন, তার স্বামী যেসব করতেন তা হিলারির জানা না থাকার কোনো কারণই থাকতে পারে না। ওনারা দুজনই মিথ্যাচার করেছেন।
মাল্টি মিলিয়নিয়ার জেফ্রে এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটনের যোগাযোগের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, নাবালিকা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকারী এই ব্যক্তির সঙ্গে আত্মমর্যাদাশীল একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট নিশ্চয়ই একমাইল দূরত্ব বজায় রাখবেন। কিন্তু ক্লিনটনের ক্ষেত্রে তা হয়নি। ২০০০ সালের পর কয়েক বছর এই এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চেপে অন্তত ১১বার ভ্রমণ করেছেন ক্লিনটন। ললিতা এক্সপ্রেস নামের এই জেটেই নাবালিকা মেয়েদের নিয়ে নানা অপকর্ম করেন বলে খবর রয়েছে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে। আদালতের নথি বলছে, এপস্টেইনকে অন্তত একুশ পথে তার সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ক্লিনটন।
প্রশ্ন উঠেছে, মিসেস ক্লিনটনের নিজের ভালোবাসার জীবন নিয়েও। রবার্ট মোরো তার অংশে দাবি করেছেন, এক সন্তানের মা, ৩৫ বছরের চেলসি ক্লিনটন আদৌ বিল ক্লিনটনের ঔরসজাত নন। চেলসিকে তিনি উল্লেখ করেছেন হিলারির ল’ ফার্মের সাবেক পার্টনার ওয়েবস্টার হাববেলের সন্তান হিসেবে।
হাববেল শুরুর দিকে ক্লিনটন ক্যাম্পের ভেতরের একজন ছিলেন আর পরবর্তীতে তাকে উপহারস্বরূপ আরকানসান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদটি দেওয়া হয়। তবে আরও পরের দিকে প্রতারণার দায়ে জেল খাটতে হয় তাকে।
এর প্রমাণ হিসেবে লেখকদ্বয়ের দাবি, চেলসি মোটেই ক্লিনটন দম্পতির মতো দেখতে নন, তবে হাববেলের সঙ্গে তার বেজায় মিল, বিশেষ করে দু’জনের বড় মোটা ঠোঁটের দিকটি। নিউইয়র্কের একজন সার্জনকে উদ্ধৃত করে এতে আরও বলা হয়েছে, চেলসি বিশের কোটায় পড়ার পরপরই ঠোঁটের বড় ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি করান, আর তা স্রেফ চেহারা থেকে হাববেলের মিল ঝেড়ে ফেলতেই করা হয়েছিলো।
স্টোন-মোরোর বইয়ে হাসি-ঠাট্টার উপকরণ ছড়ানোর এখানেই শেষ নয়, মিসেস ক্লিনটকে সমকামী বা উভকামী বলতেও ছাড়েননি তারা। বিল ক্লিনটনের গৃহকর্মী জেনিফার ফ্লাওয়ার্সকে উদ্বৃত করে বলা হয়েছে, ক্লিনটনই তাকে বলেছেন, বিছানায় হিলারির নির্লিপ্ততার কথা, কারণ তার সম্পর্ক মেয়েদের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়েও হিলারির কয়েকজন লেসবিয়ান বন্ধু ছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে এই বইয়ে।
হিলারির বদরাগের কথা আগে থেকেই বলাবলি হয়ে আসছে। নতুন বইয়ে এসেছে আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য। তার ভয়ে স্বামী নাকি তটস্থ থাকেন। বিলের সাবেক প্রেস অফিসার ডি ডি মেয়ার্সও এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। ঘরে তাদের ঝগড়াঝাটির খবর মিডিয়ায় এসে পড়লে মেয়ার্সের ওপরই দায়িত্ব পড়তো সেগুলো অস্বীকার করার।
ক্লিনটন যখন আরকানসাসের গর্ভনর, তখনকার দিনগুলোতে তার দেহরক্ষীরা এই দম্পতিকে প্রায়শই ঝগড়াঝাটি করতে দেখেছেন। বিশেষ করে ক্লিনটন গভীর রাতে ড্রাইভে গেলেই লেগে যেতো যুদ্ধ। একবারতো গভীর রাতে টেবিলের গ্লাস, বাসন-কোসন ভাঙ্গার শব্দে গোটা বাড়ির সবাই জেগে উঠেছিলেন। অফিসিয়াল লিমোতে বসেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এটা ওটা ছোঁড়াছুড়ি চলতো বলে একসময়ের ড্রাইভারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে এই বইয়ে। তবে যখনই গাড়ি থেকে নামতেন, দুজনেরই মুখে ছড়িয়ে পড়তো হাসির ঝলক।
সে বছর মার্চে হিলারি গিয়েছিলেন লিটল রকে তার মৃত্যুপথযাত্রী পিতাকে দেখতে। এদিকে তার স্বামী হোয়াইট হাউজে দাওয়াত দিলেন সেলিব্রেটি বারবারা স্ট্রেইস্যন্ডকে। হিলারি জানলেন বারবারা সেখানে রাত কাটিয়েছেন। এরপর বাড়ি ফিরে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠলেন। আর স্ত্রীর আঘাতে ঘাড়ের কাছে কেটে গেলো ক্লিনটনের। ডি ডি মেয়ার্স বলেন, আমিই সেই নির্বোধ, যে ওই আঘাতের চিহ্ন সম্পর্কে প্রেসের কাছে বলেছিলো, সেভ করার সময় কেটে গেছে।
বইয়ে রস ছড়িয়ে বর্ণনা করা হয়েছে মনিকা লিউনস্কিকে নিয়ে ক্লিনটনের যৌন কেলেঙ্কারির উপাখ্যান আর সে ঘটনায় হিলারির নির্লিপ্ততার কথাও।
বইয়ের এসব প্রসঙ্গের বাইরে জিজ্ঞাসাবাদে বেনগাজী হামলার প্রসঙ্গ গুরুত্ব পায়। কিন্তু এতে তার প্রেসিডেন্সিয়াল দৌড়ে সামান্যই প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বরং এতে বিপরীতে হীত হবে বলেই মনে করছেন তারা।
দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে ক্লিনটন ছিলেন পুরোপুরি শান্ত। সব কথাই চুপচাপ শুনে যাচ্ছিলেন আর মাঝে মধ্যে মুচকি মুচকি হাসছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
আরএইচ/এমএমকে