ঢাকা: অভিবাসীদের স্রোত নিয়ন্ত্রণে আশ্রয়স্থল নির্মাণসহ ১৭ দফা পরিকল্পনায় একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বলকান নেতারা। আশ্রয়স্থল নির্মাণসহ সীমান্তে নিবন্ধন, নৌ অভিযান বাড়ানোর বিষয়গুলোও রয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে ইউরোপ ও বলকানের ১১টি দেশ অংশগ্রহণ করে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যম জানায়, গ্রিস থেকে জার্মানি যেতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এক লাখ জায়গা তৈরি করা হবে। গ্রিসে ৫০ হাজার ও বলকান দেশগুলোতে ৫০ হাজার জায়গা তৈরিতে সহায়তা করবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা।
এছাড়াও সীমান্তে নিবন্ধন, স্লোভেনিয়া সীমান্তে চারশ’ পুলিশ মোতায়েনের বিষয়ে একমত হয়েছেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতারা। আর যারা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের নিবন্ধন নিশ্চিত করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স।
সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঁ-ক্লদ জাঙ্কার বলেন, শরণার্থীদের প্রয়োজনীয়তাকে মানবিক দিক থেকে চিন্তা করতে হবে, পশ্চিম বলকান রুটে যেনো কোনো মানবিক বিপর্যয় না ঘটে সে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, এর আগে কখনো এমন বড় ধরনের সমস্যায় পড়েনি ইউরোপ।
এ সম্মেলনের আগে স্লোভেনিয়ার পর অভিবাসীর স্রোত ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলকান রাষ্ট্রগুলো।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বলছে, গত সপ্তাহে প্রতিদিন নয় হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী গ্রিসে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের শরণার্থী।
আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস, কসোভো, মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া নিয়ে বলকান অঞ্চল।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে প্রায় আড়াই লাখ শরণার্থী বলকান অঞ্চল দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
আরএইচএস/জেডএস