ঢাকা: আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ও আয়মান আল-জাওয়াহিরি পাকিস্তানের সৃষ্টি। এক সময় তারা দেশের নায়ক ছিলেন, কিন্তু পরে খলনায়কে পরিণত হন বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ।
গত রোববার (২৫ অক্টোবর) পাকিস্তানি একটি সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সোভিয়েত বাহিনীকে মোকাবেলা করতে সারা বিশ্ব থেকে একাট্টা করা জঙ্গিদের মধ্যে থেকেই পরবর্তীতে পাকিস্তানের হাতে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান হয়।
তিনি বলেন, আমরা তালেবানদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পাঠাতাম। তালেবান, হাক্কানি, ওসামা বিন লাদেন ও জাওয়াহিরি আমাদের নায়ক ছিল। পরে তারাই আবার খলনায়কে পরিণত হলো।
কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে পাকিস্তান লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকেও সমর্থন ও প্রশিক্ষণ দিতো বলে স্বীকার করেছেন দেশটির সাবেক এই সেনাপ্রধান।
পারভেজ মোশাররফ বলেন, ১৯৯০ সালের দিকে ইসলামাবাদ এ ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা দিতো। হাফিজ সাঈদ ও জাকিউর রহমান লাখভির মতো সন্ত্রাসী নেতারা তখন নায়কোচিত সম্মান পেতেন।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের দিকে লস্কর-ই-তৈয়বাসহ আরও ১২টি দল কাশ্মির মুক্তির আন্দোলন শুরু করে। আমরা তাদের সমর্থন করতাম এবং এই প্রশিক্ষিত বাহিনী তাদের জীবনের বিনিময়ে এ অঞ্চল রক্ষায় সংগ্রাম করতো।
২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের নথিতে পলাতক আসামি সাঈদ পাকিস্তানে অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। আর লাখভিসহ অন্য ছয়জন চলতি বছরই জামিনে মুক্তি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে বোমা হামলার ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত হন।
পারভেজ মোশাররফ বলেন, মূলত ধর্মীয় আন্দোলনকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই পাকিস্তান তাদের সমর্থন ও প্রশিক্ষণ দিতো। কিন্তু পরে এসব আন্দোলন সন্ত্রাসের রূপ নেয়। এখন পাকিস্তানের সৃষ্ট সন্ত্রাস পাকিস্তানকেই ধ্বংস করছে। এ পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
আরএইচ