ঢাকা: সিরিয়ায় সংকট সমাধানে ভিয়েনায় চলমান আলোচনায় সব পক্ষের প্রতি নমনীয়তার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ভিয়েনায় শুরু হয় দু’দিন ব্যাপী এ আলোচনা।
এছাড়া যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, মিশর, লেবানন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও এতে অংশ নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মন্ত্রীরাও। সিরিয়া ইস্যুতে এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইরান।
আলোচনার বেশ আগে থেকেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রশ্নে বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়েই এই সংকটের একটি সমধানের পথ খুঁজতে চাইছে রাশিয়া ও ইরান। আর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর দাবি, আসাদকে নিয়ে সিরিয়া ইস্যুতে কোনো রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়।
২০১১ সালে শুরু হওয়া চার বছরের এ সংঘাতে এ পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে। এছাড়া গৃহহীন হয়েছেন আরও অন্তত এক কোটি মানুষ।
সম্প্রতি সংকট মোকাবেলায় ও প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থনে সিরিয়ায় সন্ত্রাস দমনে অভিযান শুরু করেছে রাশিয়ান বাহিনী। তবে তা সহজভাবে নিতে পারেনি পশ্চিমা দেশগুলো।
আলোচনার প্রাক্কালে জাতিসংঘ মহাসচিব এতে অংশ নেওয়া মূল পাঁচটি দেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আলোচনায় সবাই যদি নিজের অবস্থানে অনঢ় থাকে, তাহলে সিরিয়ার জনগণ কখনোই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে না। সবসময় আমি যেমনটা বলি, এখনও তাই বলছি, সামরিক পদক্ষেপ কখনো সমাধান হতে পারে না।
এর আগে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, আসাদের অপসারণের ব্যাপারে ইরানকে একমত হতেই হবে। যদি কোনো রাজনৈতিক সমাধানে যেতেই হয়, এছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক বিভাগের প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি। এছাড়া তার সঙ্গে আরও সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভসহ সৌদি ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
সাক্ষাৎ শেষে ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক বিভাগের প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেন, ভিয়েনা আলোচনায় সব ক্রীড়নকই এক টেবিলে বসেছে। এবার একটি সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব বলে আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
আরএইচ