ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো না গেলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দ্বীপরাষ্ট্রগুলো। এসব দেশের অধিবাসীরা ঘর ছাড়তে বাধ্য হবেন।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে চলমান জলবায়ু (কোপ-২১) সম্মেলনের ফাঁকে মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপ, সেন্ট লুসিয়া, বার্বাডোস ও পাপুয়া নিউগিনির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা এতে যোগ দেন।
হাওয়াইয়ে জন্ম নেওয়া ওবামা নিজেকে ‘দ্বীপ-বালক’ উল্লেখ করে বলেন, দ্বীপ-জীবনের সৌন্দর্য ও কাঠিন্য দুইই আমার জানা।
এদিকে, আফ্রিকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপাদনখাতে পরবর্তী পাঁচ বছরে আট বিলিয়ন ইউরো (৬৬ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা) বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার আফ্রিকার ১২টি দেশের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে সাহারা মরুভূমির বৃদ্ধি ঠেকাতে আফ্রিকান ইউনিয়নের উদ্যোগ ‘মহাসবুজ প্রাচীর’ বাস্তবায়নে অর্থায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। আফ্রিকান ইউনিয়নের ১১ সদস্য ২০০৭ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সাহারা মরুভূমির ক্রমবৃদ্ধি ঠেকাতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেছেন প্রিন্স চার্লসও। এতে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষিণ আমেরিকা থেকে রাশিয়া ও আফ্রিকা পর্যন্ত বৈশ্বিক বনভূমি গড়ে তোলার ব্যাপারে কথা বলেন।
তেল, গ্যাস ও কয়লা পোড়ানোর ফলে নিঃসরিত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণে বৈশ্বিক বনভূমি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে এ সময় তারা একমত হন।
এদিকে, প্যারিসে যোগ দেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও বনাঞ্চল রক্ষায় সরকারগুলোর আরও অনেক কিছু করার আছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
আরএইচ