ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রিপাবলিকানদের পরিচয় সংকটে ফেলে দিয়েছেন ট্রাম্প!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৬
রিপাবলিকানদের পরিচয় সংকটে ফেলে দিয়েছেন ট্রাম্প! ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: এক বছর আগেও রিপাবলিকান দলে ছিল শক্ত ভিত পাওয়ার আনন্দ। বিগত ছয় নির্বাচনের পাঁচটিতেই পরাজিত হওয়ার পর নেতাকর্মী-সমর্থকদের দৃষ্টি ছিল ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে।

আশার সঞ্চার হয়েছিল টেড ক্রুজ, মার্কো রুবিও, জেব বুশ ও বেন কার্সনদেরকে ঘিরে। এবার বুঝি এদের যেকোনো একজনের তরীতেই ভোটের নদীর ওপারে পাড়ি জমানো যাবে।

প্রথমদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন প্রার্থিতার দৌড়ে থাকা হেভিওয়েট ওই চার নেতার ছায়ায়। অভিবাসন ইস্যুতে সংস্কারের দাবি জানিয়ে, মুসলিমদের আমেরিকাছাড়া করার হুঙ্কার দিয়ে আর মেক্সিকোর সঙ্গে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রস্তাব করে আলোটা যেন নিজের দিকে টেনে নিলেন তিনি। তবে সে আলো কোনো প্রশংসার আলো নয়।

সমালোচিত হয়ে আলোচনায় শুধু আসলেনই না, যে চার নেতাকে ঘিরে রিপাবলিকান দলে আশার সঞ্চার হয়েছিল, তাদেরকেই যেন নিজের ছায়ায় ঢেকে ফেললেন তিনি। এরই মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত নিউরো সার্জন বেন কার্সন ও জেব বুশ প্রার্থিতার দৌড় থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। বাকি দু’জন এখনও লড়ে যাচ্ছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন উত্থান তৃণমূল রিপাবলিকানরা যেভাবেই নিক না কেন, বর্ষিয়ানরা কিন্তু মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না। কেউ বলছেন, ট্রাম্প মনোনয়ন পেলে ফাটল দেখা দিতে পারে প্রাচীন এ দলটিতে। আবার কারোর মতে, ধনাঢ্য এ ব্যবসায়ীর কারণে পরিচয় সংকটে পড়বেন রিপাবলিকানরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প আসলে সমালোচিত হয়ে রিপাবলিকান দলকেই ইমেজ সংকটে ফেলেছেন। মানুষ এখন দলটিকে তার চেহারায় চিনবে।

আইওয়ায় পোড় খাওয়া রিপাবলিকান রাজনীতিক জেমি জনসন টুইট করে বলেছেন, আমার দল আসলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি এ মন্তব্য করেছেন বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) প্রার্থিতার দৌড়ে থাকা রিপাবলিকান নেতাদের বিতর্ক অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যের কারণে। অনুষ্ঠান সঞ্চালক ব্রেট বায়ার সেদিন ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন, এমন যদি হয়, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কোনো ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, কিন্তু সেনাবাহিনীর সদস্যরা তা মানতে রাজি হলেন না। তাহলে কি করবেন?

বরাবরের মতো ট্রাম্পের উদ্ধত জবাব, আমি যদি বলি, এটা করতে হবে। তাহলে তা তাদের করতেই হবে। এটাই নেতৃত্ব।

পরে অবশ্য বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্প তার এ কট্টর মন্তব্য থেকে সরে এসেছেন। এতে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আইন ও চুক্তির দ্বারা আবদ্ধ। কাজেই আমি আমাদের সেনাবাহিনীকে এমন কোনো নির্দেশ দেব না, যা আইন ভঙ্গ করে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই আমি সেনাবাহিনীর পরামর্শ নেব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।